বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকালই তিনি দাবি করেন তাঁর পাশে নেই দলীয় নেতৃত্ব। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) নাম জড়ানোর পর থেকে একাধিক বার এই দাবি করেছেন নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা (Tapas Saha)। এ বার সরাসরি দলীয় সংগঠন এবং স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে নিশানা করে বসলেন তাপস। বিধায়কের দাবি, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার প্রভাব আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পড়তে চলেছে।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাপসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাপসের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক-সহ বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সংগ্রহ করেছেন বেশ কিছু নথিপত্র। এর মধ্যেই তাপস ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘এ দলে কেউ কারও কথা শোনে না।’
তৃণমূল বিধায়কের দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে জেলা জুড়ে দলের ফল বেশ খারাপ হবে। আশঙ্কা রয়েছে। তাপস বলেন, ‘দলের জেলা সভাপতি অসুস্থতার কারণে প্রায় নিষ্ক্রিয়। কো-অর্ডিনেটর সাংগঠনিক কোনও ব্যাপারে খোঁজখবর রাখেন না। জেলার অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব গ্রামীণ এলাকার সংগঠন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখান না।’
তাঁর নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ানোর পিছনে দলের একাংশকেই দায়ী করেছেন তাপস। রবিবার তেহট্টের বিধায়ক বলেন, ‘আমাদের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। অথচ দলের একটা শ্রেণি বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে লড়াই করছে! এ ভাবে কোনও দল চলতে পারে না। কর্মচারী দিয়ে সংগঠন চলে না। সংগঠন চালাতে গেলে প্রয়োজন মজবুত নেতৃত্বের।’ তাঁর সংযোজন, ‘দলে কেউ অপরিহার্য নন। কিন্তু দলে সংগঠন অপরিহার্য। সেই সংগঠনটাই শেষ হয়ে গিয়েছে নদিয়ায়।’
তৃণমূল নেতা এদিন দাবি করেন, তাঁর দলে কেউ কারও কথা শোনেন না। তিনি বলেন, ‘আমি দলের প্রতীকে জয়ী বিধায়ক। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে তা বলার জন্য নির্দিষ্ট ফোরাম আছে। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি আছে। সে সব না করে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে আমার বিরুদ্ধে কাদা ছোড়া শুরু হলো! দলে যেমন খুশি তেমন সাজো চলছে।’