বাংলা হান্ট ডেস্ক: অসুখ হলেই তা সারাতে সবাই সাধারণত চিকিৎসকের কাছেই দৌড়ান। কিন্তু ইদানিং লাথি মেরে কোমরের ব্যথা সারিয়ে চারিদিকে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন তারাপীঠের (Tarapith) এক অঘোরী সাধু (Aghori Sadhu)। তাই কোমরের ব্যথা (Back Pain) সারাতে দূর দূরান্ত থেকে তার কাছে সেধে লাথি খেতে ছুটে আসছেন বহু মানুষ।
কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর! এই অঘোরী সাধুর কাছে লাথি খেয়ে কোমরের ব্যথা সারানোর বিষয়টিও ঠিক তেমনি। অনেকেই আবার এই বিষয়টিকে নেহাত বুজরুকি বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে শুধু বাংলায় নয়, সারা বিশ্বে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে বীরভূমের এই তারাপীঠ মন্দিরের। তন্ত্রসাধনার অন্যতম জনপ্রিয় পিঠস্থান হিসেবে স্বীকৃত এই মন্দির।
সম্প্রতি এই তারাপীঠ মহাশ্মশানেই সাধক বামাক্ষ্যাপার সমাধিস্থলে ওই অঘোরী সাধুর লাথি খেয়ে কোমরের ব্যথা সারাতে ভিড় জমাচ্ছেন শয়ে শয়ে ভক্ত। কিভাবে ব্যথা সারছে ভক্তদের? জানা যাচ্ছে,মন্দিরের দিকে মুখ করে প্রথমেই প্রণাম করছেন ভক্তরা। আর ঠিক সেই সময়ে কালো কাপড় আর কালো চাদর গায়ে এক অঘোরী সাধু এসে লাথি মারছেন ভক্তের কোমরে। লাথি খাওয়ার পরেই হুমড়ি খেয়ে সামনের দিকে পড়ে যাচ্ছেন অনেকেই।
এরপর উঠে তারা প্রণাম করছেন ওই অঘোরী সাধুকে। কারণ তাদের বিশ্বাস এই বাবার লাথি খেয়েই নাকি সেরে যাচ্ছে তাদের কোমরের ব্যথা। তাই দিকে দিকে এখন তারাপীঠের অঘোরী সাধু সমীরনাথের নাম ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যাচ্ছে বর্তমানে এই সাধুর বয়স নাকি চল্লিশের কাছাকাছি। একটা সময় তাঁর পূর্বাশ্রম ছিল কলকাতার শিয়ালদহে। ২০১৯ সালেই নাকি তিনি দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন যোগী বাবা রবীন্দ্র-র কাছে।
আরও পড়ুন: আজকের রাশিফল ২৮ মে, পারিবারিক জীবন সুখের হবে এই চার রাশির
একসময় কলকাতার নিমতলা মহাশ্মশানে তিনি রোজ ১২টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত সাধনা করতেন। তবে গত ১২ বছর ধরে তারাপীঠ মহাশ্মশানের একটি কুঠুরিতে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেছেন তিনি বিশেষ অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন এই বাবার নাকি বেশি চাহিদা নেই। কাঞ্চন মূল্যেই তিনি সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন। কিন্তু কিভাবে তিনি এই অসম্ভবকে সম্ভব করছেন?
এই প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন ১২ বছর ধরে তিনি যে সাধনা করছেন তাতেই নাকি তিনি স্বয়ং মা কালীর ইঙ্গিত পেয়েছেন। যা থেকেই এই কাজ তিনি করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন।সেই সাথে তিনি জানান জন্মের সময় মাতৃগর্ভ থেকে নাকি তাঁর পা আগে বেরিয়েছিল সেই কারণেই নাকি তাঁর পা এই বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন।
যদিও বিজ্ঞান মঞ্চের তরফ থেকে পুরো বিষয়টিকে বুজরুকি বলে দাবি করা হয়েছে। বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য হিমাদ্রি শুক্লা এপ্রসঙ্গে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘লাথি মেরে কারো ব্যথা ঠিক করা যায় না। নির্দিষ্ট চিকিৎসার মাধ্যমেই সেই রোগ নিরাময় হয়। তবে যারা অর্থের অভাবে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন না। তাদের তাদেরই কায়দা করে এসব বুজরুকির ফাঁদে ফেলা হয়।’