বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত তথা এশিয়া মহাদেশে প্রথম নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের প্রথম নোবেল জয়ী হিসাবে চির অমর হয়ে রয়েছে এই বাঙালি সাহিত্যিকের নাম। তবে জানেন আরো এক বাঙালি সাহিত্যিককে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য মনোনীত করেছিল নোবেল কমিটি!
সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৭১ সালে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (Tarashankar Bandopadhyay)। সে বছর সাহিত্য একাডেমির তৎকালীন সম্পাদক কৃষ্ণ কৃপলনি প্রস্তাব করেন তারাশঙ্করের নাম। ১৯৭১ সালেরই সেপ্টেম্বর মাসে প্রয়াত হন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী কাউকে মরণোত্তর নোবেল দেওয়া হয়না।
মনোনিত হয়েও নোবেল প্রাপ্তি হয় নি তারাশঙ্করের (Tarashankar Bandopadhyay)
তাই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান এই বাঙালি সাহিত্যিক। তারাশঙ্করের (Tarashankar Bandopadhyay) পাশাপাশি সেবছর সাহিত্যে নোবেলের জন্য মনোনয়ন পান গুন্টার গ্রাস, আর্থার মিলার, বোর্হেসের মতো সাহিত্যিকরাও। তবে সবাইকে পিছনে ফেলে ১৯৭১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ছিনিয়ে নেন পাবলো নেরুদা।
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবছর শুধু বিজেতাদের নাম প্রকাশ করা হত। তবে ২০২২ সালে সুইডিশ নোবেল কমিটি প্রথমবারের মতো পুরনো আর্কাইভ প্রকাশ করেছিল। তখনই জানা যায়, প্রায় ৫১ বছর আগে সাহিত্যে অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (Tarashankar Bandopadhyay)।
আরোও পড়ুন : বন্যা-ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন! কৃষকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে এবার বিরাট নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
১৮৯৮ সালের ২৩ জুলাই ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে জন্ম তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর সৃষ্টিকর্মের মধ্যে রয়েছে ধাত্রীদেবতা, গণদেবতা, হাঁসুলী বাঁকের উপকথা, আরোগ্য নিকেতন ইত্যাদি। সাহিত্য জীবনে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ভূষিত হন একাধিক সম্মানে।
সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার, পদ্মভূষণ সম্মান। তারাশঙ্করের (Tarashankar Bandopadhyay) সাহিত্য থেকে নির্মিত হয়েছে একাধিক চলচ্চিত্র। যেগুলির মধ্যে অমর হয়ে রয়েছে জলসাঘর, অভিযান, সপ্তপদী, হাঁসুলী বাঁকের উপকথা, দুই পুরুষ, গণদেবতা ইত্যাদি।