বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজনীতি কলাকুশলীরা বাংলায় পটপরিবর্তন নিয়ে তাদের গুটি সাজানো শুরু করে দিয়েছেন। একদিকে বর্তমান রাজ্য সরকার যখন সমস্ত পুজো প্যান্ডেলে উদ্বোধনী তাদের প্রধান প্রধান নেতাদের পাঠিয়ে জনসংযোগের একটা বার্তা দিতে চেয়েছেন। তখন বিরোধীর মুখ হয়ে উঠে আসা বিজেপি ও তাদের দুই বিঘা জমি ছাড়তে নারাজ।
পুজো প্যান্ডেল গুলোতে তাদের প্রসারের মাধ্যম হিসেবে প্রকল্পগুলিকে তুলে ধরেছেন এবং জনসংযোগে মহিলা থেকে আরম্ভ করে আট থেকে আশি সকলের মধ্যে একটা বার্তা দিতে সফল হয়েছেন।
কেন্দ্রীয়ভাবে রাজনীতির ইতিহাসে বর্তমানে ৩৭০ ধারা ৩৫ এ নিয়ে কাশ্মীর যখন নিজের ভঙ্গিতে খেলা শুরু করেছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নাকি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। অন্যদিকে তিনতলাক ইস্যু ও বিজেপির পক্ষে যাওয়ায় সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক অনেকটা থাবা বসাতে পেরেছে তারা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় অমিত শাহ, কৈলাশ বিজয় বর্গী হাত ধরে ৪২ এর মধ্যে আশাতিরিক্ত আসন পেয়ে উজ্জীবিত কর্মী মহল। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি তাদের সংসদদের এলাকার সামলানোর যেমন গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন, তেমনি পাশাপাশি সংসদে লেখাগুলিও সামলানোর মতো দায়িত্বকে বন্টন করেছেন। বিজেপির ২০২১ লক্ষ পশ্চিমবঙ্গ দখল যে তাদের কাছে শুধু সময়ের অপেক্ষা তা যেন হাবেভাবে বুঝিয়ে দিতে চাইছেন সবসময়।
এনআরসি নিয়েও তারা প্রচার করতে পিছুপা হচ্ছেন না। বর্তমান শাসক দল যে এনআরসি নিয়ে মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছচ্ছেন তা নিয়েও একাধিকবার মুখ খুলেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। আর এবার কোমর বেঁধে নামতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির হাওয়াকে আরও গরম করতে। এবং বিধানসভা নির্বাচনে বর্তমান সরকারকে উৎখাতের জন্য মুকুল রায় কিছুদিন আগেই বলেছেন, বিসর্জনের সাথে সাথে বর্তমান সরকারও নাকি বিসর্জন হয়ে যেতে চলেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন্দ্রীয় নীতি বর্তমান সরকারি কর্মচারীদের অনেকাংশে ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি কিভাবে ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করে সেটাই দেখার বিষয়।