বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে দিকপাল পরিচালক তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar)। কিডনির সমস্যা সহ একাধিক শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। মাঝে পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলেও এখন আবার সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে। একাধিক জটিলতার জন্য বেশ কাবু হয়ে পড়েছেন বর্ষীয়ান পরিচালক।
বেশ অনেক বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তরুণ মজুমদার। হার্টেরও পাম্প করার ক্ষমতা কমেছে। হাসপাতাল সূত্রে সকালে জানানো হয়, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ রয়েছে পরিচালকের। পাশাপাশি লিভার এবং হাইপো হাইরয়েডিজমও রয়েছেন তাঁর। স্বাভাবিকের তুলনায় মাত্রা অনেকটাই বেশি যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে চিকিৎসকদের।
তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন তিনি যা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের। প্রতি মিনিটে আট লিটার থেকে কমে তিন লিটার হয়ে গিয়েছে অক্সিজেন দেওয়ার মাত্রা। আপাতত ক্রিটিকাল কন্ট্রোল ইউনিটে রাখা হয়েছে পরিচালককে। রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাবার দেওয়া হচ্ছে। উপরন্তু এখন নতুন সমস্যা হিসাবে রক্তেও সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি করার পর করোনা পরীক্ষাও করানো হয়েছে।
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের দিকপাল পরিচালকদের মধ্যে একজন তরুণ মজুমদার। শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে ‘যাত্রিক’ দল গঠন করেছিলেন তিনি। দলের প্রথম পরিচালিত ছবি ছিল চাওয়া পাওয়া। ওই দলের ‘কাঁচের স্বর্গ’ ছবি পেয়েছিল জাতীয় পুরস্কার।
পরে অবশ্য ওই দল থেকে বেরিয়ে আসেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। একে একে তিনি তৈরি করেন পলাতক, নিমন্ত্রণ, গণদেবতা, বালিকা বধূ, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, দাদার কীর্তি, আপন আমার আপনের মতো কালজয়ী সব ছবি।