বাংলাহান্ট ডেস্ক: চলে গিয়েও নজির সৃষ্টি করে দিয়ে গেলেন দিকপাল পরিচালক তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। সোমবার হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মরণোত্তর দেহদান করা হয়েছে পরিচালকের। লাল ঝান্ডায় সজ্জিত হয়ে শেষযাত্রা হল তরুণ মজুমদারের।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই চলছিল কিংবদন্তি পরিচালকের। আশা জাগিয়েও শেষমেষ ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন তিনি। সোমবার সকাল ১১ টা বেজে ১৭ মিনিটে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
পরিচালকের পরিবারের ইচ্ছা ছিল মরণোত্তর দেহদানের। তাই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে পরিচালকের দেহ এনটিওয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিংবদন্তি পরিচালকের ইচ্ছা ছিল, তাঁর মরদেহে যেন ফুল মালা না দেওয়া হয়। তাঁর ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে মরদেহের শরীরে সাদা কাপড়ের উপরে সিপিএম এর লাল ঝান্ডা জড়ানো হয়। বুকের উপরে রাখা হয় গীতাঞ্জলি।
পরিবারের ইচ্ছাতেই কিংবদন্তি পরিচালকের শেষযাত্রায় কোনো আড়ম্বর করা হয়নি। দেওয়া হয়নি গান স্যালুটও। তরুণ মজুমদারের মরদেহ এনটিওয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হয় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। রাজনৈতিক মত নির্বিশেষে কিংবদন্তি পরিচালককে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
এনটিওয়ান স্টুডিও থেকে আবারো এসএসকেএমেই ফিরিয়ে আনা হয় মরদেহ। দেহদানের পাশাপাশি পরিচালকের চক্ষুদানও করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকাহত টলিপাড়া।
গত ১৪ জুন কিডনির সমস্যা সহ একাধিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তরুণ মজুমদার। গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও ছিল তাঁর।
মাঝে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল পরিচালকের। কিন্তু সে অবস্থা বেশিদিন থাকেনি। আবারো অসুস্থ হয়ে পড়াতে উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে। রবিবার ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক।