বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলা সিনেমার কথা উঠলেই বাঙালির চায়ের আড্ডা জমে ওঠে সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণালকে নিয়ে।সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণালের হাত ধরে বাংলা ছবি যে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছেছিল তা নিয়ে দ্বিধা বা দ্বন্দ্ব কোনওটাই নেই। তবে বাংলা ছবির সংসারে বসবাস ছিল এক চির তরুণের (Tarun Majumdar)।
সেই চির তরুণকে (Tarun Majumdar) কতটা মনে রেখেছে আধুনিক প্রজন্ম?
দাদার কীর্তি, ভালোবাসা ভালোবাসা, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, আলো, চাঁদের বাড়ির মতো একের পর এক চলচ্চিত্রে তরুণ মজুমদার ফুটিয়ে তুলেছিলেন নিখাদ বাঙালিয়ানাকে। তরুণ মজুমদার ঢুকে গিয়েছিলেন বাঙালির রন্ধ্রে। আত্মবিস্তৃত জাতি হিসেবে পরিচিত বাঙালির ড্রয়িং রুমে তরুণ মজুমদার যেন এনেছিলেন পুরনোকে সঙ্গী করেই তরুণত্বের স্বাদ।
বিএ পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্র কেদারের সাদামাটা নিষ্পাপ চরিত্র মন ছুঁয়ে গিয়েছিল বাঙালি দর্শকের। আবার প্রাণোচ্ছল অরূপের মধ্যবিত্ত প্রেম ভালবাসার জোয়ার এনেছিল সেই সময়ের বহু তরুণ-তরুণীর মনে। তরুণ মজুমদারের ছবির মধ্যে বারবার ফুটে উঠেছে বাঙালিয়ানা। আধুনিকতার মোড়কে তরুণ মজুমদার গল্প বলেছেন প্রত্যেকটা বাঙালির।
আরোও পড়ুন : থালা বাজিয়ে চিতা তাড়াল শ্যামলী! দেদার ট্রোল নেটপাড়ায়, TRP বাড়ানোর নিনজা টেকনিক?
রবীন্দ্র সংগীত হোক কিংবা বিজয়া দশমীর চেনা আমেজ, যৌথ পরিবাররের সেই স্বর্ণালী দিন হোক কিংবা ফাঁকা পকেটে গড়ের মাঠে প্রেমিকার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা, সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির চালচিত্র ছিল তরুণ মজুমদারের ছবি (Movie)। তরুণ মজুমদারের হাত ধরে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (Tollywood) পেয়েছে একের পর এক নক্ষত্রকে।
তাপস পাল, দেবশ্রী রায়, অয়ন মুখোপাধ্যায়ের মতো তরুণদের জায়গা করে দিয়েছেন নিজের ছবিতে। সময় গেছে, যুগ বদলেছে। বদল এসেছে বাঙালির লাইফ স্টাইলে। কিন্তু এতগুলো দিন পেরিয়ে এসেও তরুণ ম্যাজিক থেকে গেছে শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, দাদার কীর্তি, ভালোবাসা ভালোবাসা, আলো, চাঁদের বাড়ির মতো ছবিগুলি।
https://m.imdb.com/name/nm0538306/?ref_=ext_shr_lnk
সিনে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ছবিতে রবীন্দ্র সংগীতের ব্যবহার যথার্থই করেছিলেন তরুণ মজুমদার। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিবাজী চট্টোপাধ্যায়, তরুণ মজুমদারের ছবি মানেই রবীন্দ্রপ্রেমী বাঙালির জয়োল্লাস। আধুনিকতার মোড়কে যতদিন বাঙালির রক্তে থাকবে বাঙালিয়ানা, ততদিনই চির তরুণ হয়ে থেকে যাবেন বাংলা ছবির ‘জীবনপুরের পথিক…!’