বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জিনিসপত্রের যা দাম তাতে বাজারে গেলেই হাত-পুড়ছে মধ্যবিত্তের। শাকসবজি থেকে আনাজ পাতি কোনো কিছুতেই হাত দেওয়ার জো নেই! আলু-পেয়াঁজ কিংবা মরশুমি শীতের সবজি সব কিছুরই দাম (Market Price) এখন আকাশছোঁয়া। তাই বাজারে গেলেই মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে আমজনতার। শুধু তাই নয় একেক এক জায়গার বাজারে জিনিসপত্রের দামের (Market Price) মধ্যেও থাকছে আকাশ পাতাল পার্থক্য।
আকাশছোঁয়া বাজার দরের (Market Price) কারণ কি?
বিশেষ করে কাল যে আলু ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে আজ সেই আলুই কিনতে হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। কোথাও আবার কাল ৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও আজ দাম বেড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রাতারাতি জিনিসপত্রের দামের (Market Price) এমন ফারাক দেখে কার্যত মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।
কিন্তু কেন? কি কারণে এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে? এমনই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই কলকাতার বিভিন্ন বাজারে হানা দিয়েছিল টাস্ক ফোর্স। তারপর সেখানে গিয়েই তাদের নজরে পড়েছে এক ভয়ংকর ছবি। কলকাতার দমদম কিংবা এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকার পাশাপাশি এই একই ছবির ধরা পড়েছে উত্তরবঙ্গের বাজার গুলিতেও।
আলু-পেয়াঁজ সবজি ছুঁলেই হাত পোড়ার জোগাড়। রবিবার জলপাইগুড়ির একাধিক বাজারে অভিযান চালিয়েছিল টাস্ক ফোর্স। জলপাইগুড়ির দিনবাজার, স্টেশন বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ৩০ টাকা কেজি। লাল আলুর দাম প্রায় চল্লিশ টাকা কেজি। কিন্তু কেন বাজারে আলুর দাম এত বাড়ছে? অভিযানে নেমে বেশ কয়েকটি বিষয় নজরে এসেছে টাস্ক ফোর্সের।
আরও পড়ুন: ‘ডঙ্কা বাজিয়ে সংরক্ষণ তুলে …..’ অনুপ্রবেশ ইস্যুতে এ কি বললেন নরেন্দ্র মোদী?
যা থেকে জানা যাচ্ছে সাধারণত হিমঘর থেকে আলু বের হওয়ার পর নির্দিষ্ট কয়েকটি ধাপ পেরিয়েই সেই আলু আসে খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে। সেখান থেকেই আলু কিনছেন ক্রেতারা। আর এখানেই হয়েছে গন্ডগোল। এতগুলো ধাপ পেরিয়ে আলু খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে এসে পৌঁছানোর আগেই মাঝের কোনো এক ধাপে ব্যবসায়রীরা নিজেদের ইচ্ছামত আলুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
যার ফল ভুগতে হচ্ছে পরবর্তী ধাপ গুলিকে। খুচরো ব্যবসায়ীদের যেহেতু বেশি দামে আলু কিনতে হয়েছিল তাই লাভ বৃদ্ধির জন্য তারাও বাধ্য হয়েই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এই ছবিটা উত্তরবঙ্গের বাজারে ধরা পড়লেও একই অবস্থা কলকাতার আলু পেঁয়াজ সহ অন্যান্য সবজির দামের ক্ষেত্রেও।