বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত শুক্রবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ও বাংলাদেশী অভিনেত্রী তথা সমাজকর্মী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। এই বিয়ে নিয়ে বহু আগে থেকে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন চললেও অকস্মাতই বিয়েটা সেরে ফেলেন দুজন। সৃজিত-মিথিলার বিয়ে এখন নেটদুনিয়ার অন্যতম ‘হট টপিক’। অবশ্য আগামী জীবনের জন্য শুধু যে সবার আর্শীবাদ, শুভ কামনাই পেয়েছেন নব বিবাহিত দম্পতি তা কিন্তু নয়। অনেকেই এই বিয়ে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করতে ছাড়েননি। অবশ্য তাদের পাত্তা না দিয়ে নিজেদের মধ্যেই মজে রয়েছেন সৃজিত ও মিথিলা।
এই সেলিব্রিটি কাপলের বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিনও। শনিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সৃজিত মুখার্জি ও মিথিলার বিয়ে নিয়ে মন্তব্য করেন তসলিমা। তাঁদের প্রেম ও বিয়ের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি লেখেন, “সৃজিতকে জানি তাঁর ছবি দেখে। মিথিলা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। কাল ফেসবুকে দুজনের বিয়ের খবর পড়ার পর মিথিলা কে সে তথ্য গুগল করে পেয়েছি। ব্যাপারটা চমৎকার। এই প্রেমটা। সৃজিত মিথিলার প্রেম। হিন্দু মুসলমানের প্রেম। শুধু প্রেমই নয়, বিয়েও। পুব আর পশ্চিমের মিলন। এসব যত বেশি ঘটবে, তত উড়বে ধর্ম, ঘুচবে সংস্কার, ছিঁড়বে কাঁটাতার, মরবে বিদ্বেষ।”
শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় সৃজিতের দক্ষিণ কলকাতার বাসভবনে বসেছিল বিয়ের আসর। মিথিলার ছোট্ট মেয়ে, দুজনের পরিবারের সদস্য ও উপস্থিত কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের সাক্ষী রেখে রেজিস্ট্রি বিয়ে সারেন তাঁরা। তবে সংবাদ মাধ্যমকে তাঁরা জানেন দুমাস পরেই বড় করে একটা পার্টির ব্যবস্থা করতে চলেছেন তাঁরা।
বিয়ের পরদিনই অর্থাৎ গত শনিবার সুইজারল্যান্ড উড়ে গিয়েছেন সৃজিত-মিথিলা। জেনেভার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির ফর্ম ফিলাপ করবেন মিথিলা। পাশাপাশি হয়ে যাবে ছোট্ট করে মধুচন্দ্রিমাও। জানা গিয়েছে, সাত দিন শুধুমাত্র একে অপরের সান্নিধ্যে কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।