বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে একটি নাম তাসলিমা নাসরিন। তিনি লেখিকা বটে কিন্তু তার লেখনি শক্তি এতটাই ধার নাড়িয়ে দিতে পারে মানুষের মন। সে ধর্মের দিক থেকে হোক অধর্মের দিক থেকে হোক। এবার তো নিজের স্ট্যাটাসে লিখে ফেললেন হিন্দুদের সহন শক্তি নিয়ে তার মতামত।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- “আমার এক বন্ধু গাড়িতে বসেও ভগবানের নাম জপে। প্রতিদিন সকালে চান সেরে পুজো করতে বসে। নবরাত্রি চলছে, প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা করে পুজো করছে, ব্রত পালন করছে, ফল আর জল ছাড়া আর কিছু খাচ্ছে না।
‘এমনিতে শনি-বৃহস্পতিবার আর মঙ্গলবার মাছ-মাংস খায় না। কিছু দিন পরপরই অবশ্য মাছ-মাংস বন্ধ থাকে। একবার বলে পিতৃপক্ষ চলছে, মাছ-মাংস চলবে না, আরেকবার বলে শাওন মাস চলছে- পুরো শাওন মাস মাছ-মাংস বন্ধ। আবার বলে- পুজো এসে গেছে, মাছ-মাংস তো বন্ধই, তবে সবজি চলবে; কিন্তু পেঁয়াজ-রসুন বাদ দিয়ে।’
তসলিমা বলেন, “সারা বছর এই ব্রত সেই উপোস লেগেই আছে। বন্ধুটি কিন্তু কোনো গেরুয়া পোশাকের সন্ন্যাসী নয়। রীতিমতো আধুনিক পোশাক পরা সাংবাদিক, যাকে লোকে প্রগতিশীল বলে গণ্য করে।- মাঝেমধ্যে ভাবী, মুসলমানরা প্রচণ্ড আরামে আছে, সারা বছর মোগলাই খান, ননস্টপ খেয়েই যাচ্ছে। বছরে এক মাসের জন্য একটা উপোসের মাস আসে বটে, ওই মাসটায় সবচেয়ে বেশি ভোজন চলে। মুসলমানদের তুলনায় হিন্দুদের ত্যাগ যে কী ভয়াবহ, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।‘দুর্গম পাহাড়ে উঠছে মন্দিরে যাওয়ার জন্য। মাইলের পর মাইল হেঁটে গঙ্গাজল কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছে দূরের মন্দিরে। সারারাত নদীর জলে কোমর অবধি ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, হাতে ধরে রাখে ফলমূলের ঝুড়ি, সূর্য দেবতা যেন খুশি হন। ভগবানকে পেতে গুরু ধরে এরা, গুরুরা ঠকিয়ে সর্বনাশ করে। আর কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায় মুসলমানদের মতো এত ভোগ বিলাসী নয়।’