বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। বিতর্কিত লেখার জন্য নির্বাসিত বাংলাদেশ থেকে। এই একই কারনে তাঁকে ছাড়তে হয়েছে কোলকাতা। বর্তমানে দিল্লিবাসী তিনি। তসলিমাকে সবাই নারীবাদী লেখিকা হিসেবেই জানেন। নিজে মুসলিম হলেও থাকেননি পর্দার আড়ালে। সবসময় তিনি নারীদের অগ্রাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন। বাংলাদেশে বেড়ে গিয়েছে স্যানিটারি প্যাডের দাম। এই নিয়ে মুখ খুলেছেন তসলিমা। পড়ুন কি বলেছেন তিনি।
“শুনলাম বাংলাদেশে স্যানিটারি প্যাডের দাম এমন বাড়ানো হয়েছে যে গরিব মেয়েদের তা কেনার সাধ্য নেই। মেয়েদের মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র ছাড়া এ আর কী! প্রতিদিন ধর্ষণ, হত্যা,আত্মহত্যা, স্বামীর মারধর, এসব যেন যথেষ্ট নয়, তাই মেয়েদের মেরে ফেলার অন্য পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে। প্যাডগুলোকে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রাখলে, মেয়েরা আনহাইজিনিক জিনিস পত্র ব্যাবহার করবে, জরায়ুতে ইনফেকশান হয়ে, সেপ্টিসিমিয়ায় একদিন মরবে। তাতে কারো কিছু যায় আসে না।
সরকার সাবমেরিন কিনে ফালতু টাকা নষ্ট করেন। সরকারের উচিত ঘরে ঘরে ফ্রি স্যানিটারি প্যাড পৌঁছে দেওয়া। ঘরে ঘরে এক্সময় জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল ফ্রি বিলি করা হতো। ফ্রি লাইগেশান করা হতো। মেয়েদের তো গিনিপিগ হিসেবে আজ থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে না। ওইসব পিল খেয়ে মেয়েদের অসুখ বিসুখ হয়েছে, তার দিকে কে ফিরে তাকিয়েছে। পুরুষেরা ভ্যাসেক্টমি করতে চায়নি, কন্ডমও ব্যাবহার করতে চায়নি। সুতরাং মেয়েদের সর্বনাশ হলে হোক। এক যৌনদাসির মৃত্যু হলে আরেক যৌনদাসি পাবে পুরুষেরা।
মেয়েদের ক্ষতি তো অনেক হয়েছে, এবার ক্ষতিপুরণের কিছু করুক সরকার। ঘরে ঘরে গিয়ে ফ্রি স্যানিটারি প্যাড দিয়ে আসুক। পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে এই কাজটি করতে পারে। মেয়েদের ইস্কুল কলেজেও ফ্রি বিতরণ করা যায়। মিলিটারিরাও খামোকা বসে না থেকে হেলিকপ্টার থেকে অজ গাঁ গুলোয় প্যাড ফেলে আসতে পারে। প্যাড ফেলা তো বোমা ফেলার চেয়ে ভালো। সারা দেশের মেয়েদের বছরের পর বছর দরকারি স্যানিটারি প্যাড বিতরণ করার খরচ তো পানির নিচে হুদাই পড়ে থাকা আজাইরা সাবমেরিনের খরচের ধারে কাছেও না। তাহলে?”
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা