ইলিশের কোন ধর্ম নেই, বললেন বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন

বাংলাহান্ট ডেস্ক :ইলিশ নিয়ে যদিও এপার বাংলা ওপার বাংলার কিছুটা বিতর্ক রয়েছে কিন্তু সবকিছুর করতে গিয়ে এপার বাংলা ওপার বাংলার বাঙালির ইলিশ যে প্রিয় তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। অন্যদিকে আর দুদিন পরেই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ষষ্ঠী থেকে দশমী বাঙালির ঠাকুর দেখে জমির না খেলে ঠিক হয়না। ষষ্ঠী থেকে দশমী এর খাবারের লিস্টে ইলিশ মাছ থাকবে না তা হতেই পারে না। তবে পদ্মার ইলিশের যে আলাদা স্বাদ তা মানবে এপার বাংলার বাঙালিরা। এবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উপহার ইলিশ মাছ পাঠাচ্ছে স্বয়ং বাংলাদেশ।

পশ্চিমবঙ্গের একটি ব্যবসায়ী দলের সাথে বাংলাদেশ ব্যবসায়ী দলের সমন্বয় হয়েছে সেই সূত্রেই পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের সে ইলিশ মাছ বিক্রি করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শুক্রবার বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশের বাণিজ্য দপ্তরের সচিব দুর্গাপুজোর উপহার হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এ পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ নিয়ে আসবে তারপর সেখানে বিক্রি করবেন।

images 25 3

বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। কিছুদিন আগে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ইলিশ খেয়েছেন। যদিও তাকিয়ে প্রাণ ভরে নিয়ে তার। পদ্মার ইলিশের স্বাদ অকপটে স্বীকার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার বাংলাদেশে ভারতে ইলিশ পাঠাবে তার খবর পেয়ে তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে মন্তব্য লিখেছেন নিজের। পড়ুন তিনি কি বলছেন।

“আগে তো ৫০০০ থেকে ৮০০০ টন ইলিশ যেত বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে। তারপর কী হলো? ২০১২ থেকে ইলিশ রফতানি বন্ধ। কেন? সম্ভবত তিস্তার পানির ভাগ না পাওয়াতে বাংলাদেশ রাগ করেছিল। হঠাৎ সাত বছর পর রাগ অভিমান ধুয়ে জল করে দিল। নিষেধাজ্ঞা তুচ্ছ করে ইলিশ রফতানি করতে বাংলাদেশের মন চাইলো। কেন? পুজোর শুভেচ্ছা জানাবে। পুজোয় ইলিশ খাক বাঙালি। ৫০০ টন ইলিশ আসছে এ পুজোয়।
এই নিষেধাজ্ঞা ফিষেধাজ্ঞা গুলো আমার অসহ্য লাগে। দিল্লিতে সাতটা বছর গুজরাটের ঘাসের-স্বাদের ইলিশকে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ ভেবে কিনেছি। মাছের দোকানিরা তো তাই করে, হাবিজাবি জলের ইলিশকে পদ্মার বলে চালায়, আর ক্রেতার পকেট ফাঁকা করে চলে যায়। ইলিশ রফতানি চলুক। পদ্মার ইলিশ খাওয়ার অধিকার এপার ওপার সব বাঙালির সমান। নদীর কোনও ধর্ম নেই। ইলিশের কোনও ধর্ম নেই। এরা দেশভাগ কাকে বলে জানে না।”


সম্পর্কিত খবর