বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Mohammad Yunus) রয়েছেন সেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাথায়। গত কয়েক মাস ধরে যে অশান্তির আগুনে পুড়েছে সোনার বাংলা, অনেকেই ভেবেছিলেন ইউনূসের নেতৃত্বে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হবে।
জরাগ্রস্ত মহম্মদ ইউনূসের (Mohammad Yunus) হাতে নেই বাংলাদেশ ?
মহম্মদ ইউনূসও (Mohammad Yunus) দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর দিয়েছিলেন একাধিক প্রতিশ্রুতি। তবে বাস্তবে কিন্তু দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। সংখ্যালঘুদের উপর হামলা থেকে শুরু করে দুর্গাপুজোয় মৌলবাদীদের উস্কানি, বাংলাদেশের চিত্র কিন্তু সেভাবে বদলায়নি। এই অবস্থায় বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের প্রশ্ন, বাংলাদেশ (Bangladesh) কি আদৌ চলছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে?
আরোও পড়ুন : সর্বনাশ! iPhone-এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী রতন টাটার কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
নাকি তাঁকে শিখণ্ডিত করে অন্য কারোর হাতে রয়েছে দেশের রাশ? সমাজ মাধ্যমে তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin) দাবি করেছেন, আদতে ২৮ বছর বয়সী এক যুবক মাহফুজ আলম (Mahfuz Alam) যাবতীয় কলকাঠি নাড়ছেন। কিন্তু কে এই ২৮ বছর বয়সী মাহফুজ আলম? গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামক একটি দলের নেতা হিসাবে পরিচিত মাহফুজ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংগঠনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তসলিমা লিখেছেন, “আমি মনে করি বাংলাদেশ চালাচ্ছে একটা ২৮ বছর বয়সী ছেলে, তার নাম মাহফুজ আলম বা মাহফুজ আব্দুল্লাহ। মহম্মদ ইউনুসের বিশেষ সহযোগী সে। ৮৪ বছর বয়সের ইউনুস জরাগ্রস্ত। সুতরাং খুব স্বাভাবিক যে তাঁর বিশেষ সহযোগীই ইউনুসের হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাজ করছে।”
আরোও পড়ুন : ১ কোটির ডোনেশন? প্রাইভেটে ডাক্তারি পড়া নিয়ে খোঁচা দিতেই অনিকেতকে পাল্টা দিলেন কিঞ্জল
জানা গিয়েছে, চুক্তির ভিত্তিতে মাহফুজকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসাবে নিয়োগ করা হয় গত ২৮শে আগস্ট। তসলিমা দাবি করেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী নন মাহফুজ (Mahfuz Alam), ইসলামপন্থী মৌলবাদী তিনি। এমনকি মাহফুজের ‘হিজবুত তাহরীর’ নামক একটি জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার দাবিও তুলেছেন তসলিমা।
লেখিকার দাবি, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিন্তু ছাত্ররা নিজেদের শিবির পরিচয় গোপন করে শুধু ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয়ে সামনে এসেছিল। এই সময় জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা, কোনও কারণ নেই, যে, জানিয়ে দেবে তারা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। সম্ভবত ভেবেছে, একবারেই জানাবে, তাদের খেলাফত স্বপ্ন সফল করার পর।”