বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীন বা অন্যান্য বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে ৫-জি টেকনোলজি আনয়ন সুরক্ষার ক্ষেত্রগুলিতে যথেষ্ট সমস্যা তৈরি করতে পারে। অন্তত এমনটাই ধারণা ছিল বিশ্বের বেশ কিছু দেশের। যার ফলে ইতিমধ্যেই চীনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে অনেক দেশ। তবে এবার ভারতের জন্য এলো বড় সুখবর। তাদের আর চীনের কাছ থেকে ৫-জি টেকনোলজি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। টাটা কোম্পানি এবং ভারতী এয়ারটেলের যৌথ উদ্যোগে এবার দেশ পাবে ভারতের নিজস্ব ৫-জি টেকনোলজি।
ইতিমধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই দুই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টাটা গ্রুপ
অত্যাধুনিক ও-আরএন ভিত্তিক রেডিও এবং এনএসএ / এসএ কোর তৈরি করেছে। যার ফলে আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য দেশের নিজস্ব ৫-জি টেকনোলজি পাবে ভারত। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে চালানো হবে একটি পাইলট প্রোজেক্ট যার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে এয়ারটেল। ২০২২ সালে সারা দেশজুড়ে ৫-জি পরিষেবা পৌঁছে দিতে তারা ব্যবহার করবে টাটার এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
ভারতী এয়ারটেলের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার এমডি এবং প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা গোপাল ভিট্টাল জানিয়েছেন, “ভারতে ফাইভ-জি এবং অন্যান্য প্রযুক্তির একটি গ্লোবাল হাব তৈরি করতে টাটার সাথে হাত মিলিয়ে আমরা আনন্দিত। এধরনের বিশ্বমানের প্রযুক্তি এবং প্রতিভার দ্বারা ভারত আগামী দিনে সারা বিশ্বের জন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক সমাধান এবং অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে সক্ষম হবে। ভারতের উদ্ভাবন ক্ষমতা এবং উৎপাদনকে এই প্রযুক্তি অনেকটাই বাড়াতে সাহায্য করবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে যে সমর্থন ভারতীয় মানদণ্ডকে মাথায় রেখেই তৈরি করা হচ্ছে এই ৫-জি প্রোজেক্ট। সাথে সাথে এটিকে বিশ্বমানের করেও তৈরি করা হচ্ছে। যদি এই প্রোজেক্ট সঠিক ভাবে সফল হয় তাহলে আগামী দিনে বিশ্বে ৫-জি টেকনোলজি রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ৫-জি টেকনোলজি সম্পর্কে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন অভিনেত্রী জুহি চাওলা। তার মতে এই রেডিয়েশন প্রাণীকূলের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। এখনো তার সমাধান সামনে আসেনি। তাই এখন আগামী দিনে এই প্রোজেক্ট কিভাবে এগোয় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।