বাংলাহান্ট ডেস্ক : নতুন বছরের শুরুতেই এল ভালো খবর। টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের (Tata Consultancy Services) তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে যে, এই বছরে প্রচুর পরিমাণে ক্যাম্পাসিং হবে। ফলে আরও বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়েই বলা যায়, সংস্থার মুখ্য মানবসম্পদ আধিকারিক মিলিন্দ লক্কড় আশার আলো দেখাচ্ছেন।
TCS (Tata Consultancy Services) নিয়ে বড়সড় আপডেট
সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে আসে টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের (TCS) ত্রৈমাসিক ফলাফল। পাশাপাশি শেয়ার হোল্ডারদের জন্যে ডিভিডেন্ডের ঘোষণা করা হয়েছিল। এরই সঙ্গে এবার টিসিএস জানিয়ে দিয়েছে, সংস্থার মাধ্যমে গত ত্রৈমাসিকে পদোন্নতি করেছে ২৫ হাজার অ্যাসোসিয়েট। সব মিলিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে টিসিএসে ১ লাখ ১০ হাজার প্রোমোশন (Promotion) হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিলিন্ড লক্কড়।
মিলিন্দ লক্কড়ের কথায়, ‘এই ত্রৈমাসিকেই আমরা ২৫ হাজার অ্যাসোসিয়েটকে প্রোমোশন দিয়েছি। এর ফলে এই বছরে মোট ১ লাখ ১০ হাজার প্রোমোশন দিয়েছে কোম্পানি। আমরা আমাদের কর্মীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নয়নের দিকে নজর দিয়ে চলেছি। আমাদের এই বছরের ক্যাম্পাসিং (Campasing) পরিকল্পনামাফিক চলছে। আগামী বছরে এর থেকেও বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা হবে ক্যাম্পাসিংয়ে। এর জন্যে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
আরোও পড়ুন : ঘুরে দেখতে চান সুপ্রিম কোর্টের অন্দরমহল? রয়েছে সুযোগ, এইভাবে মিলবে ছাড়পত্র
এদিকে টিসিএসের ত্রৈমাসিক ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই জানা গিয়েছে, গত বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মাঝে প্রায় ৫৩৭০ জন কর্মী কমেছে সংস্থায়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসে কাজ করতেন প্রায় ৬ লাখ ১২ হজার ৭২৪ কর্মী। ডিসেম্বরের শেষে কর্মীর সংখ্যা হয়ে যায় ৬ লাখ ৭ হাজার ৩৫৪। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে অক্টোবর-ডিসেম্বর কোয়ার্টারই প্রথম এমন ত্রৈমাসিক ছিল, যেখানে এক ধাক্কায় নেমে গিয়েছে টিসিএসের মোট কর্মী সংখ্যা। ।
আরোও পড়ুন : অষ্টম শ্রেণি পাশেই মিলবে চাকরি! Group D পদে কর্মী নিয়োগের জন্য জারি বিজ্ঞপ্তি, এভাবে করুন আবেদন
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম দুই ত্রৈমাসিক মিলিয়ে টিসিএসের (Tata Consultancy Services) মোট কর্মী সংখ্যা বেড়েছিল ১১ হাজার ১৭৮। এদিকে মিলিন্দ লক্কড়ের সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারে টিসিএসে ১২.৩ শতাংশ ছিল ‘অ্যাট্রিশন রেট’ (কর্মীদের স্বেচ্ছায় সংস্থা ছাড়ার হার)। তবে সেটাই সামান্য বেড়ে ১৩ শতাংশ হয়েছে ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে। যদিও এই নিয়ে খুব একটা বেশি মাথা ঘামাতে নারাজ মিলিন্দ।
তাঁর কথায়, ‘এই পরিবর্তন অতি সামান্য। আমাদের অস্বস্তির কারণ হবে না এটা। সার্বিক ভাবে দেখতে গেলে আমি আশা করছি আগামী ত্রৈমাসিকগুলিতে আমাদের অ্যাট্রিশন রেট কমবে। এখন আগের বছরের তুলনায় যদি তথ্য পরিবেশন করা হয়, তাহলে হয়ত তার প্রতিফলন অন্য রকমের হতে পারে। সেটা অ্যাট্রিশন রেট কেমন ভাবে গণনা করা হয়, তার ওপর নির্ভর করে।’