বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের অন্যতম পুরনো ব্যবসায়িক গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হয় টাটা গ্রুপ (Tata Group)। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই তাদের ব্যবসায়িক বিস্তার ঘটেছে। তবে, এবার হেলথ সেক্টরেও নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে চায় এই গ্রুপ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, টাটা গ্রুপ এবার ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। এর ফলে এই বড় হাসপাতালের পরিকাঠামো আরও মজবুত হবে। জানিয়ে রাখি যে, ১৬৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক টাটা গ্রুপ (Tata Group) এই হাসপাতালে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এমতাবস্থায়, হাসপাতালের ১৪ সদস্যের বোর্ডে টাটা গ্রুপের ৩ জন প্রতিনিধি যোগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বড় পদক্ষেপ টাটা গ্রুপের (Tata Group):
বোর্ডেও পরিবর্তন আসছে: জানা গিয়েছে যে, প্রবীণ ব্যাঙ্কার দীপক পারিখের স্থলাভিষিক্ত হবেন গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। তিনি ২০২৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তবে, হাসপাতালের নামে তেমন কোনও পরিবর্তন না হলেও টাটার নাম কোনওভাবে যুক্ত হতে পারে। একটি সম্ভাবনা আছে যে নামটি হতে পারে “Breach Candy, A Tata Sons Associate”।
এদিকে, টাটা গ্রুপের (Tata Group) এই বিরাট বিনিয়োগ হাসপাতালটির পরিকাঠাম আরও উন্নত করবে। এর পাশাপাশি আরও ভালো প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো সহ পরিষেবার উন্নতির দিকেও নজর দেওয়া হবে। এর ফলে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হবেন রোগীরা। এদিকে, এটি হবে মুম্বাইয়ে টাটা গ্রুপের তৃতীয় হেলথ কেয়ার প্রজেক্ট। এর আগে পারেলে ক্যান্সারের গবেষণা ও চিকিৎসার জন্য টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি, গত বছর মহালক্ষ্মীতে পশুদের জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা বিপদ! সুদূর আমেরিকা থেকে বড়সড় দুঃসংবাদ পেলেন আদানি
ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতাল ১৯৪৬ সালে তৈরি হয়: জানিয়ে রাখি যে, ইউরোপিয়ান হাসপাতাল ট্রাস্ট স্বাধীনতার আগে ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতাল তৈরিতে মূলত ইউনিলিভার, ফবস এবং ক্রম্পটন গ্রিভস অর্থ বিনিয়োগ করে। এদিকে, এটিই ছিল দেশের প্রথম হাসপাতাল যেখানে প্রথম MRI সুবিধা শুরু হয়েছিল। এই সুবিধাটি ১৯৯৮ সালে শুরু হয়।
আরও পড়ুন: NFT-র দুনিয়ায় ভারতের পদার্পণ, ঘোড়ার গতিতে ছুটবে TreasureNFT! জানুন বিস্তারিত
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহার বাজপেয়ীর হাঁটুর চিকিৎসা হয় এই হাসপাতালে। এছাড়াও, ১৯৯২ সালে অমিতাভ বচ্চনকেও এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধিরু ভাই আম্বানি তাঁর জীবনের শেষ সময়ে এই হাসপাতালেই ছিলেন। এদিকে, রতন টাটাও এই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।