দেশজুড়ে সস্তায় মিলবে বিদ্যুৎ! প্রত্যন্ত এলাকাও হবে আলোকিত, বড় চমক সামনে আনল টাটার এই কোম্পানি

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশজুড়ে সস্তায় বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়ার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে টাটা (Tata Group)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছিলেন, টাটা পাওয়ার দিল্লি দেশের প্রথম মাইক্রো সাবস্টেশন প্রদর্শন করেছে। এই সাবস্টেশনটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে সস্তা এবং নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।

বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল টাটা (Tata Group):

জানা গিয়েছে যে, জাপানি কোম্পানি নিসিন ইলেকট্রিকের সহযোগিতায় এই মাইক্রো সাবস্টেশনটি লঞ্চ করা হয়েছে। টাটা পাওয়ারের চিফ টেকনিক্যাল সার্ভিসেস এইচসি শর্মা CNBC TV18-কে এই প্রযুক্তির সুবিধাগুলি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করেছেন।

Tata Group takes big step towards providing cheap electricity.

এইচ সি শর্মার মতে, এই মাইক্রো সাবস্টেশনটি প্রচলিত সাবস্টেশনের তুলনায় প্রায় ৯৫ শতাংশ কম খরচে নির্মিত হয়েছে। যার ফলে বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশনের খরচ অনেক কমে যাবে। শুধু তাই নয়, এটি সহজেই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৬৬,০০০ কেভি লাইনকে সরাসরি কনভার্ট করতে পারে এবং একই সাথে ৫০ থেকে ৬০ টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।

আরও পড়ুন: “প্রধানমন্ত্রী মোদী সত্যিই মহান”, “অপারেশন সিন্ধু”-র মাধ্যমে ইরান থেকে দেশে ফিরে প্রশংসা ভারতীয়দের

মিলবে একাধিক সুবিধা: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই নতুন মাইক্রো সাবস্টেশনটি সেইসব প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ আগে চ্যালেঞ্জিং ছিল। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও দক্ষ, সস্তা এবং স্থিতিশীল হবে।

আরও পড়ুন: ক্রিকেট কেরিয়ারে একটা বিষয়েই রয়েছে আফসোস! রাখঢাক না রেখে আক্ষেপের কথা জানালেন সৌরভ

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, টাটা পাওয়ার এই প্রযুক্তি সফলভাবে পরীক্ষা করেছে এবং এখন এটি সারা দেশে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে। এইচসি শর্মা বলেন যে, নিসিন ইলেকট্রিকের সাথে এই অংশীদারিত্ব ভারতের বিদ্যুৎ সেক্টরে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এর পাশাপাশি এই মাইক্রো সাবস্টেশনের আগমন কেবল বিদ্যুতের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করবে না বরং গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের নতুন সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচন করবে।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।