বাংলা হান্ট ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতবর্ষে দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে দিল টাটা (Tata)। সময়ের সাথে সাথে এখনকার দিনে বেড়েছে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার। তাই মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, কম্পিউটার কিংবা অন্যান্য সমস্ত ধরনের ইলেকট্রনিক্স জিনিস সচল রাখার জন্য দরকার হয় প্রসেসর চিপ। এবার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে আসামে তৈরি হতে চলেছে টাটা (Tata) ইলেকট্রনিক্সের সেমিকন্ডাক্টর চিপ (Semiconductor Chips) তৈরির কারখানা।
টাটা (Tata) ইলেকট্রনিক্সের সেমিকন্ডাক্টর চিপ তৈরির কারখানা
এই মুহূর্তে আমাদের দেশে চিপ নির্মাতা সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে টাটা (Tata) সন্স। জানা যাচ্ছে, এই কারখানা নির্মাণে মোট ২৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। আর এই কারখানার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর কর্মসংস্থানও হবে প্রায় ২৭ হাজার ছেলে মেয়ের। শনিবারই অসমের মরিগাঁও জেলার জাগিরোডে এই কারখানার ভূমি করা হয়েছে ।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বাস শর্মা সহ হাজির ছিলেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। তিনি জানিয়েছেন এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে প্রত্যক্ষভাবে ১৫ হাজার এবং পরোক্ষভাবে ১২ হাজার কর্মসংস্থান হতে চলেছে। বর্তমানে এই কারখানা নির্মাণের কাজের জন্য ইতিমধ্যেই ১০০০ লোক নিয়োগ করা হয়েছে। যারা অসমের বাসিন্দা।
এছাড়া এপ্রসঙ্গে টাটা ইলেকট্রনিক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই কারখানা তৈরির পর প্রত্যেকদিন প্রায় ৪.৮৩ কোটি চিপ তৈরি করা সম্ভব হবে। যা আগামী দিনে দেশের উন্নতির পথ আরও সুগম করতে চলেছে। এই সেমিকোন্ডারটার চিপ তৈরির কারখানা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন এই কারখানা তৈরি হওয়ার পর এখানে মূলত তিন ধরনের চিপ তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: সব টাকার নোটে গান্ধীজি হাসেন কেন? ৯৯% মানুষই জানেন না আসল কারণ
যা বর্তমানে দেশের সমস্ত সমস্ত বড় বড় বৈদ্যুতিন যানবাহন নির্মাতা সংস্থা ব্যবহার করে থাকে। প্রসঙ্গত ২০২ ৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরর সভাপতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরির জন্য অনুমোদন দিয়ে দিয়েছিল। আর তার পাঁচ মাসের মধ্যেই এই নির্মাণকার্য শুরু হয়ে যাওয়ায় এবার থেকে সমস্ত ধরনের চিপ তৈরি হবে ভারতের মধ্যেই।
যার ফলে এই সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরেও ভারতকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চলেছে টাটা গ্রুপ। টাটার তরফে জানানো হয়েছে এই কারখানা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল থেকেই চালু হয়ে যাবে। এছাড়াও গুজরাটের ঢোলেরাতে তৈরি হচ্ছে টাটা ইলেকট্রনিক্সের আরও একটি কারখানা। যা ২০২৬ সালের ডিসেম্বর থেকে চালু হবে বলেই জানা যাচ্ছে।