বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার পুরো ভারতের বাজার দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে টাটা মোটরস (Tata Motors)। গত বছরেই অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি ফোর্ডের কাছ থেকে একটি নতুন কারখানা কিনে নিয়েছিল টাটা মোটরস। মূলত টাটা প্যাসেঞ্জার ইলেকট্রিক মোবিলিটির প্রকল্প বাড়াতেই এই ‘সানন্দ প্ল্যান্ট’টি (Sanada Plant) কিনেছিল টাটা গোষ্ঠী (Tata Group)।
গুজরাটে টাটা গোষ্ঠীর এই প্ল্যানটি প্রায় ৪৬০ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে এই জমি কিনে কারখানা বানাতে প্রাথমিকভাবে টাটা গোষ্ঠীর খরচ হয়েছিল ৭২৫.৭ কোটি টাকা। আর নতুন করে যন্ত্রপাতি আনার জন্য খরচ হয়েছিল মোট ১৩০০ কোটি টাকা।
বিগত এক বছর ধরে ধীরে ধীরে এই কারখানার নতুন যন্ত্রাংশ নতুন সরঞ্জাম বসানো হয়েছিল টাটা মোটরসের তরফে। সূত্রের খবর টাটার এই নতুন কারখানা মাধ্যমে সংস্থার ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাপাসিটি এক লাফে বেড়ে যাবে আরো কয়েকগুণ। এই কারখানার ভিতরে রয়েছে প্রধানত চারটে বড় বড় দোকান। যার মধ্যে রয়েছে স্ট্যাম্পিং, বডি কনস্ট্রাকশন, পেইন্ট ইত্যাদি।
এগুলি সবই ১০০% অটোমেটেড। যার মধ্যে রয়েছে প্রেস শপ, ওয়েল্ড শপ, পেইন্ট শপ এবং অ্যাসেম্বল শপ। জানা যাচ্ছে, এই নতুন প্ল্যান্টটির মোট ক্যাপাসিটি হল ৩ লক্ষ ইউনিট যা ধীরে ধীরে ৪.২ লক্ষ ইউনিটে বাড়ানোও সম্ভব। জানা যাচ্ছে এই কারখানায় একইসঙ্গে ইভি ও আইসিই গাড়ি নির্মিত হবে।
আরও পড়ুন: আর চিন্তা নেই! এবার রাতে মেট্রো করেই ফিরতে পারবেন ঘরে, বদলাচ্ছে সময়সূচি! দেখুন টাইমটেবিল
জানা গিয়েছে টাটার এই আধুনিক মানের কারখানায় কাজ করবেন প্রায় হাজার জন। এছাড়াও এখানে রয়েছেএকটা ইন-হাউজ ট্রেনিং পরিকাঠামোও। আগামী দিনে টাটা কার্ভের মত মডেল-ও নাকি এই নতুন কারখানাতেই তৈরি করা হবে। এছাড়াও Avinya-র মত ফিউচার মডেল-ও তৈরি হবে এই কারখানায়।
এখানেই তৈরী হয়েছে টাটার অন্যতম জনপ্রিয় নেক্সন মডেলটিও। টাটা মোটরসের তরফে জানানো হয়েছে ২০২৬ সালের মধ্যেই নাকি এই সানন্দ প্ল্যাণ্টটি সম্পূর্ণরূপে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে পরিচালিত হবে।