বাংলাহান্ট ডেস্ক: টাটা গ্রুপের (Tata Group) অন্যতম উচ্চভিলাষী গাড়িগুলির মধ্যে ছিল ন্যানো (Tata Nano)। রতন টাটার ‘স্বপ্নের গাড়ি’। সাধারণ মধ্যবিত্ত যাতে গাড়ি কিনতে পারেন, সেই কারণে তৈরি হয়েছিল ন্যানো। দাম ছিল মাত্র এক লক্ষ টাকা। কিন্তু প্রথমে বাজার ধরতে পারলেও বিভিন্ন সমস্যার কারণে তেমন চলেনি গাড়িটি। শীঘ্রই বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় এই এক লাখি গাড়ি।
বিশ্বজুড়ে এখন চলছে ইলেকট্রিক গাড়ির যুগ। টাটা মোটরসের নেক্সন দেশের ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে বড় একটি ছাপ ফেলেছে। ভারতের সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া ইলেকট্রিক গাড়ির তালিকায় রয়েছে সেটি। শোনা যাচ্ছিল, তাদের ‘স্বপ্নের গাড়ি’ ন্যানোরও ইলেকট্রিক মডেল লঞ্চ করতে পারে সংস্থা। সাম্প্রতিক অটো এক্সপোতে Tata nano ev-র একটি প্রোটোটাইপ পেশ করেছিল টাটা মোটরস।
নতুন ন্যানোর নকশায় অনেক বদল লক্ষ্য করা গিয়েছিল। আগের তুলনায় অনেক বেশি আধুনিক দেখতে হয়েছে ন্যানো ইভি। এছাড়াও যান্ত্রিক দিকেও অনেক বদল লক্ষ্য করা গিয়েছে। একইসঙ্গে সাসপেনশন এবং চাকাতেও অনেক বদল আনা হয়েছে। যেমন বড় অ্যালয় চাকা দেওয়া হয়েছে এই গাড়িতে। এতে গাড়ির গ্রাউন্ড ক্লিয়ার্যান্স বাড়বে বলে সংস্থার দাবি।
টাটা ন্যানো ইভিতে অনেক অত্যাধুনিক ফিচার রয়েছে। যেমন ইলেকট্রিক পাওয়ার স্টিয়ারিং, বাতানুকূল যন্ত্র, সামনে পাওয়ার উইন্ডো রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ব্লুটুথ, মাল্টি ইনফরমেশন ডিসপ্লে এবং রিমোট লকিং সিস্টেম। পাশাপাশি, একটি ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। এতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কারপ্লে কানেক্টিভিটি ফিচার। একইসঙ্গে ব্লুটুথ ও ইন্টারনেট কানেক্টিভিটিও থাকছে। জানা যাচ্ছে, একটি ৬টি স্পিকারের সাউন্ড সিস্টেমও রাখা হতে পারে।
ক্রেতাদের মনে প্রশ্ন উঠছে, এই গাড়িটির রেঞ্জ কেমন হবে? এক চার্জে কতটা চলতে পারবে টাটা ন্যানো ইভি? ৪ সিটার এই গাড়িতে একটি ৭২ ভোল্টের পাওয়ারট্রেন ব্যাটারি রাখা হতে পারে। টাটা ন্যানো ইভিতে সুপার পলিমার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি রাখা হতে পারে। গাড়িটি এক চার্জে ১৬০ কিলোমিটার চলতে পারে বলে দাবি সংস্থার। একইসঙ্গে শূন্য থেকে ৬০ কিলমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে যেতে এই গাড়িটির ১০ সেকেন্ডেরও কম সময় লাগবে বলে মত টাটা মোটরসের।