বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতা-পরিচালক হিসেবে যথেষ্ট নাম ডাক রয়েছে তথাগত মুখোপাধ্যায়ের (Tathagata Mukherjee)। ইন্ডাস্ট্রিতে বরাবরই অত্যন্ত স্পষ্টবাদী হিসেবেই পরিচয় রয়েছে তাঁর (Tathagata Mukherjee)। সামনেই আছে কালীপুজো (Kali Pujo)। আর এই পুজো উপলক্ষেই আনন্দবাজার অনলাইনের সাথে নিজের বাড়ির পুজোর নানানা অজানা অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন অভিনেতা (Tathagata Mukherjee)।
বাড়ির কালীপুজোর অজানা অভিজ্ঞতা শোনালেন তথাগত (Tathagata Mukherjee)
এদিন অভিনেতার কথায় জানা যায় আলমবাজারে তাঁদের ৩০০ বছরের পুরনো একটি বাড়ি রয়েছে। এই বাড়িটির নিচে নাকি এমন একটি সুড়ঙ্গ ছিল যা পুরো গঙ্গা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তবে বর্তমানে সেই বাড়ি ভেঙে একেবারে নতুন ভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেই বাড়িতে এখনও বহু বছরের পুরনো কালীপুজো করা হয়। তাঁদের বাড়িতেই পাথরের কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।
যদিও একটা সময় বছর বছর তাঁরা কালী প্রতিমা নিজেরাই নিয়ে আসতেন। তথাগতর বাবাই নিজের হাতে প্রতি বছর মায়ের পুজো করেন। আর মা ঠাকুরের ভোগ রান্না করেন। এই পুজো দেখতে তাঁদের পাড়া থেকে প্রচুর লোকজন আসেন। যেহেতু অভিনেতার বাবা-মা দুজনেরই বয়স হয়েছে তাই বাইরে থেকে বরাত দিয়েই খাবার আনানো হয়।
সাধারণত কালীপুজোর কথা উঠলেই বলিপ্রথার কথা আসে। যদিও তথাগত স্পষ্ট জানিয়েছেন ‘আমাদের বাড়িতে পশুবলি প্রথা নেই। আজ বলে নয়, কোনও দিনই এই প্রথা আমাদের বাড়িতে ছিল না। চালকুমড়ো বলি হয়তো হয়েছে।’ অভিনেতার কথায় বলিপ্রথা জিনিসটাই এসেছে আদানপ্রদানের মানসিকতা থেকে।
আরও পড়ুন : গা ছমছমে পরিবেশে অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতার শিকার সোহম! সেদিন কি দেখে ছিলেন অভিনেতা?
বলিপ্রথা নিয়ে বাড়ির নিয়ম প্রসঙ্গে তথাগত এদিন বলেছেন, ‘বলি তো দেওয়া হয় উৎসর্গ করতে। অর্থাৎ কিছু পাওনাগণ্ডার আশায় উৎসর্গ করা হয়। আমাদের বাড়ির সংস্কৃতিতে কখনও ভগবানের সঙ্গে বিনিময় শেখানো হয়নি। আমাদের সব সময় ঈশ্বরকে বা ভগবান নামক ধারণাকে ভালবাসতে শেখানো হয়েছে। কিছু দিলে, তার বিনিময়ে ভগবান কিছু দেবেন, এমন আমাদের কখনও শেখানো হয়নি।’
শুধু তাই নয় কালীপুজোয় নিরামিষ পদ্ধতিতে মাংস রান্না নিয়ে যে ধারণার কথা শোনা যায় এপ্রসঙ্গেও এদিন অভিনেতা স্পষ্ট বললেন, ‘নিরামিষ পদ্ধতিতে মাংস রান্নারও কোনও ব্যাপার নেই। এ তো মানুষের তৈরি করা কিছু নিয়ম। কালী ঠাকুর কি নিজে কখনও এসে বলেছেন, আমাকে মাংস খাওয়াও। কালী ঠাকুর তো নারী শক্তি উদ্যাপনের প্রতীক। এক মহিলার মধ্যে যে শক্তি পুঞ্জীভূত রয়েছে, তা প্রকাশের একটা রূপ হলেন কালী। নারীশক্তির যোদ্ধা রূপ। এই সবের সঙ্গে নিরামিষ পদ্ধতিতে মাংস ইত্যাদির কোনও সম্পর্কই নেই। এ সব অশিক্ষিতদের সংস্কৃতি।’