বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এর আগেও একাধিকবার কেন্দ্রীয় নেতাদের সমালোচনা করতে গিয়ে বিতর্কে জড়াতে হয়েছে মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়কে। বারবারই তার স্পষ্টবাদী ভাষণে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে। এমনকি একুশের নির্বাচনে বিজেপির হার নিয়েও কেন্দ্রীয় নেতাদের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তথাগত রায়। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, তৃণমূল থেকে একাধিক নেতাকে নেওয়ার কারনেই বাংলায় পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে। কারণ দলের একাধিক নব্য বিজেপিকে অধিক প্রাধান্য দিয়েছে দল। যার ফলে আদি বিজেপি নেতারা অনেকেই অবহেলার মুখে পড়েছেন।
কিছুদিন আগেই মুকুল রায় দল ছাড়ার পর দলের এক কর্মীর টুইটও শেয়ার করেন তিনি। যা ইংরেজিতে অনুবাদ করে তিনি লেখেন, “মমতা পিসি এই ভোদা বিড়ালটাকেও সঙ্গে নিয়ে যাও। সারাদিন মুকুল রায়ের সঙ্গে গুজগুজ ফিসফাস করত।” যদিও তিনি এও জানিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে নিয়ে এই মন্তব্য শুধুমাত্র ঐ দলীয় কর্মীর। এতে তিনি নিজে কিছু যোগ করেননি। কিন্তু তথাগত রায় যে কার্যত বারবারই একহাত নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের, তা বলাই বাহুল্য।
আজ ছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু দিবস। যা দেশজুড়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করছে সমস্ত বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু আজকের দিনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ফের একবার কটাক্ষের তীরে বিদ্ধ করলেন তথাগত। এদিন একটি টুইটে তিনি লেখেন, “রাজ্যে যেভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে, বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে, তাতে রাজ্যে প্রশাসন আছে কি না বুঝতে পারছি না। এখন কৈলাস বিজবর্গীয়, অরবিন্দ মেননরা কোথায়? এখনই তো তাদের মানুষের পাশে থাকা উচিত।”
এর আগে তার মন্তব্যের কারণে অস্বস্তিতে পড়লেও সেভাবে তার বিরুদ্ধে কোন কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি দল। তাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার বেশি কিছু নয়। কারণ এও শোনা গিয়েছে যে তথাগতর এই বক্তব্যের পিছনে রয়েছে সংঘের প্রচ্ছন্ন মদত।কিছুদিন আগে থেকেই বাংলায় পরাজয়ের কারণ হিসেবে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে দায়ী করতে শুরু করেছে রাজ্য বিজেপিও। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যেই এ ধরনের ইঙ্গিত মিলেছে। তবে দায় যে একা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নয়, তাও এদিন আরেকবার স্পষ্ট করে দিলেন তথাগত রায়।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সরব রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বও। কিন্তু এখনো সেভাবে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় নেতাদের। সেই কারণেই তথাগতর এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন আগামী দিনে বাংলায় তার মন্তব্যের কি প্রভাব পড়ে সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে।
ফিরহাদ হাকিমের কুমন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য! কুণাল বললেন ‘ওই বিপ অংশ…’