বাংলাহান্ট ডেস্ক : জল্পনা ছিল বহুদিন ধরেই। এরই মধ্যে আজ তৃণমূলে যোগদান করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এই দলবদল ঘিরে কার্যতই শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা গেল বিজেপি নেতা তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়কে। এদিন ফেসবুকে একটি পোস্ট করে জয়প্রকাশকে বেশ ভালো রকম কটাক্ষ করেন তিনি।
সেই ফেসবুক পোস্টটিতে তথাগত লেখেন, ‘জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এই দৈন্যদশার মধ্যেও একটা কীটাণু খসে যাওয়ায় একটু শক্তি বাড়ল। কিন্তু কী এক পদার্থ জোগাড় করে তাকে সহ-সভাপতি বানিয়েছিল KDSA গ্যাং ! ওর ছেলে প্রশান্ত কিশোরের কাছে চাকরি করত। আর বাপ সহ-সভাপতি থেকে খবর সাপ্লাই করত। KDSA গ্যাং-এর অবশ্য এসব নিয়ে ভাববার সময় ছিল না। তারা কামিনী-কাঞ্চন নিয়েই মশগুল। শোনা যায় জয়প্রকাশ নাকি লাথি খাবার জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ করেছিল। শ্রাবন্তী, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব, তারপর এই!’ এরপর ডোজ আরও এক ধাপ চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘ যাই হোক, বিদায় তো হয়েছে ! আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে !’
বরাবরই ঠোঁটকাটা বলে (কু)খ্যাত তথাগত রায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৎকালীন বিজেপি নেত্রী অভিনেত্রী শ্রাবন্তী-তনুশ্রীদের নগর নটী বলা থেকে অন্যান্য নেতানেত্রীদের তুলোধনা সবেতেই সিদ্ধহস্ত তিনি। এই ফেসবুক পোস্টে দলের অন্দরের খবর ফাঁস করারই অভিযোগ এনেছেন তিনি জয়প্রকাশের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে দল থেকে ‘কীটাণু’ তথা ‘আপদ’ বিদায় হওয়ায় খুশিই প্রকাশ করেছেন এই বিজেপি নেতা। তাঁর এই পোস্টের বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জয়প্রকাশ মজুমদারের তরফে।
প্রসঙ্গত, এদিন এই ইস্যুতে মুখ খোলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি অবশ্য এই দলত্যাগ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির নীতিকেই দায়ি করেছেন। লকেট বলেছেন, ‘আগেও দল ছেড়ে বহু নেতা চলে গিয়েছেন। অনেকদিন ধরেই দলের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। যাতে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে কেউ দল ছেড়ে না যান তা আমাদের দেখা উচিত। আমাদের এখন সেই কাজটাই করতে হবে। তবে কথা বলার পরও যদি কেউ চলে যান তা অবশ্য তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।’ একই সঙ্গে অবশ্য জয়প্রকাশকে ‘সুবিধাবাদী’ বলেও দাবি করতে দেখা গেছে তাঁকে।