বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেশ কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামের রয়েছেন নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। কয়েক দিন আগে প্রতীচি ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে এসে তিনি হঠাৎই দাবি করে বসেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। এই মন্তব্যের পরই রেগে লাল বিজেপি। পরের দিন আরও কিছু দাবি করেন তিনি। অমর্ত্য বিজেপির অস্বস্তি আরও কিছুটা বাড়িয়ে দাবি করেন, ‘সিএএ (CAA) কার্যকর হলে দেশে সংখ্যালঘুদের ভূমিকা কমে যাবে। বরং সংখ্যাগুরুদের উৎসাহ দেবে এই উদ্যোগ।’ অমর্ত্য সেনের এই সমস্ত মন্তব্যের পরই তাঁকে সরাসরি আক্রমণ করেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় (Tathagata Roy)।’
সিএএ নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘আমি যতটুকু বুঝতে পারছি, সিএএ কার্যকর করার পিছনে বিজেপি মূল লক্ষ্যটা হল সংখ্যালঘুদের ভূমিকাকে কমিয়ে ফেলা। দেশে তাদেরকে গুরুত্বহীন করে দেওয়া। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবেই এটা করা হচ্ছে। তার সঙ্গেই হিন্দু সংখ্যাগুরুদের ভূমিকাকে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের ভূমিকাকেও দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
অমর্ত্য সেনের এই সব মন্তব্য মেনে নিতে পারেননি বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি টুইটে করে সরাসরি আক্রমণ করেন সরাসরি অমর্ত্য সেনকে। তথাগত রায় টুইটে লেখেন, ‘এই ব্যক্তিটি ঢাকার স্কুলে যেত। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে বের করে দেওয়া হয়। কেন? কারণ তিনি হিন্দু। তা সত্ত্বেও তিনি কখনও ওই নিপীড়ন নিয়ে মুখ খোলেননি। কেন? কারণ তিনি গান্ধী–নেহরু–বামেদের কথিত ধর্মনিরপেক্ষতার গ্রাহক হয়েছিলেন। যা তঞ্চকতার আর একটি নাম।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করা হয়েছিল। এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদেরও ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। প্রবল বিরোধিতায় এখনও এই আইন প্রয়োগ করা হয়নি।