পাকিস্তান আজকাল দুটি কারণে আলোচনায় রয়ে গেছে। কাশ্মীর ইস্যুতে হোঁচট খাওয়ার হারের পরেও পাকিস্তান শিরোনামে থাকার প্রথম কারণটি কোথাও থেকে সহায়তা পাচ্ছে না এবং দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে তার দারিদ্র্য ও দারিদ্র্যের জন্য পাকিস্তানের ঝামেলা। লক্ষণীয় যে, পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি দেখে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছে। পাকিস্তানের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকার তার ব্যয় লাগাতার হ্রাস করছেন।
দেউলিয়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাকিস্তানের ফেডারেল সরকার যে কোনও ধরণের নতুন চাকরি নিষিদ্ধ করেছে। অর্থাৎ এখন কোনোভাবেই পাকিস্তানে কেউ সরকারি চাকরি পাবে না। কারণ সরকারের ভান্ডার একেবারে খালি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া কয়েক দিন আগে ইমরান খান সরকার মহিষ, সরলারি গাড়ি ও কুকুর বিক্রি করে দেশের অর্থনীতি উন্নয়নের কথা বলেছিল।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনের অনুযায়ী,ইমরান সরকার সরকারী বৈঠকের সময় দেওয়া রিফ্রেশমেন্ট এও কাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কোনও মিটিংয়ে পরিবেশিত চা এবং বিস্কুট ইত্যাদিও সরকার নিষিদ্ধ করেছে। পাকিস্তানের কিছু নেতা এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। তারা বলেছে যে এই নিষেধাজ্ঞার পরে যারা ডায়াবেটিস বা অন্যান্য সমস্যায় সমস্যায় পড়েছেন তারা ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চলা বৈঠকে বসতে পারবেন না। লক্ষণীয় যে আমেরিকা থেকে পাকিস্তানের সহায়তার পরিমাণে বিস্তর হ্রাস পেয়েছে এবং একই সাথে চীনও গত এক বছরে পাকিস্তানে বিনিয়োগ অর্ধেক করে দিয়েছে, যার কারণে পাকিস্তান আরও সমস্যায় পড়েছে।