বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্কুলে ঢুকে এক প্রাথমিক শিক্ষিকার উপর চড়াও হল দুষ্কৃতীরা। এলোপাথাড়ি কোপে গুরুতরভাবে জখম হলেন শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জ থানার ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাতুন এফ পি স্কুলে। গুরুতরভাবে আহত ওই শিক্ষিকাকে ভর্তি করানো হয়েছে রায়গঞ্জ গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
বছর পঁয়ত্রিশের ওই শিক্ষিকার নাম রত্না খাতুন। ভাতুন এলাকার মালদাখন্ড গ্রামে বাড়ি ওই শিক্ষিকার। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শিক্ষিকার পরিবারের দাবি এই ঘটনা ঘটেছে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে। তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান সহ অন্যান্যরা এই খবর পাওয়ার পর হাসপাতালে যান। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
আরোও পড়ুন : হিরো নন, ভিলেনকে বিয়ে করেছেন জ্যোতি বসুর নাতনি। বলিউডের এই অভিনেতাকে চেনেন?
আক্রান্ত শিক্ষিকার স্বামী আবদুল জলিল জানিয়েছেন, তার স্ত্রী আজ স্কুলে গিয়েছিলেন দুপুরে। শিক্ষিকা যখন শৌচালয়ে যান তখন দুই দুষ্কৃতী মুখ ঢাকা অবস্থায় এসে প্রথমে হুমকি দেয়। অভিযোগ শিক্ষিকাকে ও তার ছেলেকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। তারপর ওই শিক্ষিকার গায়ে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা।
এই শিক্ষিকার স্বামী আরো জানিয়েছেন, রত্না খাতুনের প্রথম পক্ষের স্বামী আবদুল কাদের মারা গেছেন। তারপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা রত্নার উপর শুরু করে অত্যাচার। এরপর রত্না বিয়ে করেন জলিলকে। তবে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রথম পক্ষের শ্বশুরবাড়ির সাথে রত্নার বিবাদ রয়েছে। এই বিষয়ে মামলা হয়েছে আদালতেও। রত্নার স্বামী জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।