বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবসর (Retirement) নিয়েছেন ৩২ বছরের শিক্ষকতার জীবন থেকে। কিন্তু অবসরের পরেও ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভোলেননি। তাই প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার উন্নতির লক্ষ্যে নিজের বাবা-মায়ের নামে স্কলারশিপ (Scholership) চালু করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে শিক্ষিকা দান করলেন এক লক্ষ টাকা। তিনি তার অবসরকালীন প্রাপ্য টাকা থেকে এই টাকা দান করেছেন স্কুলকে। নদীয়ার শান্তিপুর (Shantipur) হিন্দু হাইস্কুলের এই শিক্ষিকার নাম শিলা বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শান্তিপুর হিন্দু হাইস্কুলে শীলা দেবী ১৯৯০ সালের শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেন চলতি বছরের ৩১ শে জানুয়ারি। অবসর গ্রহণের পর তার অবসরকালীন প্রাপ্য টাকা থেকে এই শিক্ষিকা স্কুলকে দান করেছেন এক লক্ষ টাকা। এই শিক্ষিকা তার মা যমুনা দেবী ও বাবা সুবল বাবুর নামে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে চালু করেছেন একটি স্কলারশিপ। দীর্ঘ ৩২ বছর শিক্ষকতা করার পর অবসর নিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়ার তারাপুরে আসল বাড়ি এই শিক্ষিকার। কর্মসূত্রে তিনি থাকতেন কল্যাণীতে। কাজের সুবিধার জন্য শান্তিপুরে একটি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকতেন তিনি। শিক্ষিকার ইচ্ছে তার বাবা মায়ের নামে স্কুলের পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারীকে তুলে দেওয়া হোক এই স্কলারশিপ বাবদ আর্থিক সাহায্য। স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষিকার এই ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে রাজি হননি শিক্ষিকা শিলা বিশ্বাস।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশিষ টিকাদার বলেছেন, “অবসর নেওয়ার সময় অতীতে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা সাহায্য করলেও শীলা দেবীর মতো কেউ করেননি। এক লক্ষ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ভবিষ্যতে স্কুলে উন্নয়নের জন্য টাকার প্রয়োজন হলে তিনি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেন।” অবসর গ্রহণের পর স্কুলের এসে তিনি সহশিক্ষকদের জানিয়েছিলেন, “আমার খুব প্রিয় এই ছাত্র-ছাত্রীরা। তাই তাদের সাহায্য করার জন্য আমি আমার বাবা-মার নামে একটি স্কলারশিপ চালু করতে চাই। ভবিষ্যতে সাহায্যের দরকার হলে আরও দেব।”