বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দু’বছর ধরে দুর্নীতিতে (Scam) জেরবার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, পুর দুর্নীতি, গরু পাচার থেকে সন্দেশখালি ইস্যু। সবেতেই নাম জড়িয়েছে শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাদের। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির জেরে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, নেতা সহ শিক্ষা দপ্তরের বহু আধিকারিক। বঙ্গে একাধিক দুর্নীতির এই আবহেই পড়শি রাজ্য বিহারে শিক্ষক নিয়োগে (Teacher Recruitment) স্থগিতাদেশ।
জানা গিয়েছে, এইমুহুর্তে শিক্ষক নিয়োগে প্রায় ৮৭,৭২২ শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই সেই নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট। বিহারে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় পর্যায়ে, ৮৭,৭২২ টি পদের জন্য শূন্যপদ ছিল। গত ১৫ মার্চ BPSC পরীক্ষাও নেওয়া হয়। তবে সেই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সামনে আসে।
পেপার ফাঁসের অভিযোগে গত ২০ মার্চ তৃতীয় পর্বের সেই শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দেয় বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন। এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিট সূত্রে যে খবর সামনে এসেছে তাতে ১৫ মার্চ যেই দুই শিফটে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছিল, সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগেই এক ফাঁস হয়ে যায়। এর জেরে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে এও জানানো হয়, আগামী ১০ থেকে ১২ জুনের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ প্রার্থী TRE-৩ তে আবেদন করেছিল। ওদিকে সম্প্রতি স্কুলের অতিথি শিক্ষকের একাংশ পাটনা হাইকোর্টে ওয়েটেজের দাবি তুলে মামলা করেন। সেই নিয়ে সম্প্রতি বিরাট নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘জেতার কোনও সুযোগই নেই..,’ ভোট শুরু হতে না হতেই একি বললেন সায়নী! শোরগোল
অতিথি শিক্ষকদের করা মামলায় আদালত জানিয়েছে, অনগ্রসর ও অত্যন্ত অনগ্রসর বিভাগের শিক্ষকরা ওয়েটেজ পান। প্রতি বছরের ভিত্তিতে তারা পাঁচ নম্বরের গুরুত্ব পায়। এবার অতিথি শিক্ষক এবং অনগ্রসর ও অত্যন্ত অনগ্রসর বিভাগের শিক্ষকরা উভয়েই একই ভাবে পাঠদানের কাজ করে থাকেন। তাই তাদেরও অবশ্যই ওয়েটেজ পাওয়া উচিত বলে সাফ জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট।