বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এ রাজ্যে নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে বিস্তর অভিযোগ। সেই ২০২২ সাল থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির অভিযোগে তোলপাড় বাংলা। এই নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতেই জেলবন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ বহুজনা। বর্তমানে আদালতে চলছে একাধিক মামলা। এবার এই আবহেই পড়শি রাজ্য বিহারেও নিয়োগ দুর্নীতির (Teacher Recruitment Scam) অভিযোগ সামনে এল। বিহারে শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশের পর থেকেই শোরগোল শুরু হয়েছিল। পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। বহু চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিল।
অভিযোগ ছিল, টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে চাকরি। যোগ্য, মেধাবীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ভুয়ো সার্টিফিকেট ও ডিগ্রি দেখিয়ে চাকরিতে যোগ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। চাকরিপ্রার্থীদের তোলা অভিযোগ অনেকাংশেই সত্যি, এমনটাই এবারে সামনে আসছে। যার জেরে জোর অস্বস্তিতে পড়েছে বিহার সরকার।
ওদিকে বিহারের নীতীশ কুমার সরকার যাদের চাকরি দিয়েছে তারাও এখন চাকরি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। বিপাকে পড়েছেন অন্তত ২৪,০০০ শিক্ষক শিক্ষিকা। সকলের মনেই এখন চাকরি খোয়ানোর ভয়। জানা গিয়েছে, ২০২৩এর ১-১৩ ডিসেম্বর পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হয়। মোট ১ লাখ ৮৭ হাজার চাকরি প্রার্থী চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই নিয়োগ হয়েছে। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, ইন্টারভিউতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। অভিযোগ, পড়ানোর যোগ্যতা নেই, এমন বহু প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আরও অভিযোগ, লিখিত পরীক্ষায় পাশ করা ৪২,০০০ প্রার্থীকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়নি। ৩০০০ প্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে যাননি। এদিকে যাদের চাকরি হয়েছে সেরকম ১০,০০০ শিক্ষকের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনই হয়নি।
আরও পড়ুন: বিরাট পদক্ষেপ সরকারের, পেনশন নিয়ে নয়া ঘোষণা! সরকারি কর্মীদের জন্য জারি নির্দেশিকা
এখানেই শেষ নয়, তদন্তে যা উঠে এসেছে সেই তথ্য অনুযায়ী, এমন বহু প্রার্থী রয়েছেন যারা আবেদনের সময় ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। এছাড়া লিখিত পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর না পেয়েই অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থী চাকরি পেয়েয়ে বলে অভিযোগ। এই খবর প্রকাশ্যে চলে আসতেই পাল্টা নীতিশ সরকারের দাবি, যেসকল প্রার্থী কাউিন্সেলিংয়ের সুযোগ পাননি তাদের ছট পুজোর পর ফের কাউিন্সেলিংয়ের সুযোগ দেওয়া হবে।