বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে চর্চার শিরোনামে এখন অভিনেত্রী তথা রাজ্যের যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে মঙ্গলবার সায়নীকে নোটিস দিয়েছে ইডি (ED)। শুক্রবার সকাল ১১টার মধ্যে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে সায়নীকে। তবে ইডির নোটিসের পরই গতকাল থেকে আর খোঁজ মেলেনি সায়নীর।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের পর কোথাও, কোনও জায়গাতেই দেখা যায়নি তৃণমূল নেত্রীকে। তাঁকে বারংবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনও সাড়া মেলেনি। গতকাল সকালে সায়নীর বিক্রমগড়ের বাড়িতে গিয়েও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। যদিও সায়নীর বাবা জানান, “সকাল সাড়ে ৮টায় ও বেরিয়ে গিয়েছে।” সূত্রের খবর রাতেও বাড়িতে ফেরেননি সায়নী।
গতকাল থেকে নেত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও আজ থেকে প্রায় ৪ মাস আগে নিজের একটি সিনেমার প্রমোশনের জন্য এক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সেখানে সিনেমা নিয়ে কথা-বার্তার মাঝে উঠে আসে কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গও। (উল্লেখ্য: চলতি বছরের প্রথমের দিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন যুবনেতা কুন্তল ঘোষ)। ‘কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরই আপনার নাম উঠে আসে।’ সাংবাদিকের এই কথায় তখন সায়নী বলেছিলেন, “সব থেকে সোজা জিনিস যখন কোনও মহিলার বিষয়ে কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না তখন তার চরিত্র নিয়ে কথা বলে দাও। আপনার কাছে প্রমাণ নেই, আপনার কথার কোনও ভারসাম্য নেই। শুধু হাওয়ায় কথা।”
আপনি কুন্তল ঘোষকে চিনতেন? এই প্রশ্নের জবাবে সায়নী বলেছিলেন, “কেন চিনবো না! ও তো আমার কমিটিতে থাকে। অবশ্যই চিনি।” কুন্তলের সাথে নিজের নাম জড়ানোর বিষয়ে সায়নী আরও বলেন, “দুর্নীতির তদন্ত চলুক। আমরাও তো চাই সত্যিটা সামনে আসুক। রাজনীতিতে জল্পনা তো হবেই। হোক না, আমরা প্রস্তুত আছি।” সায়নী আরও বলেন, “মেয়েদের character assassination কখনও কেউ করতে পারে না।”
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত হুগলীর তৃণমূল যুবনেতা (বর্তমানে বহিষ্কৃত) কুন্তল ঘোষের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সায়নীকে তলব করেছে ইডি। কুন্তলের সম্পত্তির তদন্ত করতে গিয়েই সায়নীর নাম সামনে আসে বলে সূত্রের খবর। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে সায়নীকে।
লেনদেন এমনকি সম্পত্তি কেনাবেচাতেও সায়নীর নাম উঠে এসেছে বলে গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর। এই সমস্ত বিষয়ে বিশদে জানতেই সায়নীকে ডেকে পাঠালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, এর আগে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে সায়নীকে। এই নিয়ে বেশ চর্চাও হয়। যদিও তখন সায়নী জানিয়েছিলেন, তাঁরা দুজনেই তৃণমূল করেন তাই এক মঞ্চে থাকতেই পারেন। তবে এবার ইডি তলবের পর থেকে এই নিয়ে মন্তব্য করা তো দূর, উল্টে নাকি কোনও খোঁজও মিলছে না সায়নীর।