কিশোরীকে পড়ানোর অছিলায় লাগাতার যৌন নির্যাতন, অভিযোগ দায়ের হতেই পলাতক সিপিএম নেতা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পড়াতে এসে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন ১৩ বছরের ছাত্রীকে। এবার এহেন মারাত্মক অভিযোগে তোলপাড় নিউ জলপাইগুড়ি। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরই শিক্ষকের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ভাঙচুর করা হয় অভিযুক্তের গাড়িও। আপাতত প্রাণ বাঁচাতে সপরিবারে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে শিক্ষক। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত শিক্ষক বিধায়ক চন্দ্র দাস নিউ জলপাইগুড়ির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই ওই কিশোরীকে পড়াত অভিযুক্ত। সেই শিক্ষকই যে এহেন ধিক্কারজনক ঘটনা ঘটাবে তা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা।

নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি ওই শিক্ষকের কাছে পড়তে যেতে চাইছিল না মেয়েটি। বাড়িতে বকাঝকা করে জোর করেই পাঠানো হত তাকে। কিন্তু পরশুদিন বকাঝকার পরই কান্নাকাটি শুরু করে সে। এরপর সবকিছু খুলে বলে পরিবারকে। জানা যায় গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে ওই শিক্ষক। হুমকিও দেওয়া হয়েছিল তাকে। এরপরই মেয়েটির বাড়ির লোকজন সদলবলে হাজির হন বিধায়ক দাসের বাড়িতে। সেখানে নাকি সমস্ত অভিযোগই স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত। একই সঙ্গে মুখ বন্ধ করে রাখার জন্য টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব দেয় নির্যাতিতার পরিবারকে।

এরপরই নিউ জলপাইগুড়ি থানায় বিধায়ক দাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। জানা যাচ্ছে অভিযুক্ত এলাকার বাম নেতাও বটে। বিগত পুরভোটে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সিপিএমের টিকিটে লড়ে হারে সে।

কিশোরীর বাবা বলেন, ‘যারা সমাজ গড়ার কারিগর তারাই যদি এমন ঘটনা ঘটায় তাহলে মানুষ কাকে ভরসা করবে। টাকার প্রলোভন দেখিয়ে গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সে। আজকে আমার মেয়ের সঙ্গে হয়েছে , আগামীতে অন্য কোনও মেয়ের সঙ্গে যেন এই ঘটনা না ঘটে, তার জন্য প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ ঘটনার জেরে কার্যতই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর