বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার যেন এমন এক ঘোষণা করলেন তাতে হুড়মুড়িয়ে পড়েছে শিক্ষকদের একাংশ। যেন এই মুহূর্তে তাদের বদলি প্রক্রিয়ায় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি সেখানে দাঁড়িয়ে নেই। এই প্রক্রিয়ার পেছনে রয়েছে একাধিক নিয়মের বেড়াজাল। সরাসরিভাবে যারা যুক্ত আছেন তারাই বুঝতে পারবেন এর সমস্যা কতটা গভীর। এর আগেও বারবার করে পরিবর্তন হয়েছে নিয়ম। বন্ধ হয়ে গেছে সমস্ত প্রক্রিয়া। 10 বছর 12 বছর হয়ে গেল কোন বদলি পাননি তারা মনের দুঃখে কষ্টে হয়তো সেই জায়গাতেই তাদের স্থান করে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন।
কিন্তু কর্ণপাত করেনি সরকার। কিন্তু সামনে 2021 বিধানসভা ভোট তার আগে যদি বদলি প্রক্রিয়ায় কিছুটা হলেও শিক্ষকদের ক্রোধকে প্রশমন করা যায় তার জন্যই এই প্রচেষ্টা বলে দাবি করছে শিক্ষা মহলের অনেকাংশ। এদিকে ডি এ ছাড়াই যাত্রা শুরু করেছে নতুন পে-কমিশন। এবং সেই সরকারি কর্মীদের অধিকার। তা কিন্তু ভুলে যায়নি বর্তমান রাজ্য সরকার। অজানা কারণে তা পরিষ্কার করে বলেননি অভিরূপ সরকারও।
ভিন জেলার স্কুলে চাকরি করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই অসুবিধার সম্মুখিন হতেন। বিশেষ করে শিক্ষিকারা চাইতেন যেন নিজের জেলার স্কুলেই পোস্টিং হয়। কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে অনেক সময়েই তা হয়ে উঠত না। এবার সেই সমস্যার সমাধান করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু শিক্ষিকারা নন, এবার নিজের জেলার স্কুলেই চাকরির সুযোগ পাবেন শিক্ষকরাও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এর ফলে শান্তিতে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারবেন শিক্ষকরা। দেখার বিষয় এই প্রক্রিয়া কত তাড়াতাড়ি সফলতার মুখ দেখে নাকি সেই ঘোষণা আবার থেকে যায় ঘোষণার মতোই কাগজে-কলমে তা হয়তো জায়গা করে উঠতে পারবে না।
কিন্তু প্রশ্ন অন্য জায়গায়। যেখানে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের মত সুন্দর প্রক্রিয়া চালু রয়েছে সেখানে সেই প্রক্রিয়াকে বন্ধ রাখা হয়েছে মাদ্রাসা গুলোতে। নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে আরম্ভ করে প্রায় বন্ধ সব প্রক্রিয়া।তারিখ বর্তমানে ডাই ইন হারনেসএর কাউন সিলিং তারিখ ঘোষণা করেছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। কিন্তু এ কমিশন কেউ আবার বিপাকে ফেলার জন্য কমিটির কিছু লোক পুনরায় সুপ্রিম কোর্টের মামলার বিরুদ্ধে যাবার হুমকি দিয়েছে বারবার। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো হবে নাকি কমিশনকে ধুলিস্যাৎ করে কমিটির বাড়বাড়ন্ত পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা শিক্ষাকে অন্ধকার প্রদীপের তলায় দাড় করাবে প্রশ্ন শিক্ষা মহলে!