বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম সংস্করণ। তার কিছুমাস পরেই ভারতের মাটিতে আয়োজিত হবে ওয়ান ডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩ তম সংস্করণ। দুটি বিশ্বকাপের পর ভারতীয় দলে ঘটবে বেশ কিছু বড় পরিবর্তন। ক্রিকেট জীবনের সায়ান্নে পৌঁছনো বেশকিছু ক্রিকেটার হয়তো সীমিত ওভারের কোন কোন ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন। সেই সময়ের জন্য এখন থেকেই দলকে প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
ভারতীয় ক্রিকেটে এরকম সময়ে শেষবার এসেছিল ২০১২ ও ২০১৩ সাল নাগাদ। ধীরে ধীরে ভারতীয় বিভিন্ন ফরম্যাটে দলগুলি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, সচিন টেন্ডুলকার বীরেন্দ্র সেওবাগ, গৌতম গম্ভীর, জাহির খানরা। যুবরাজ সিং তাদের চেয়ে কিছু বেশি সময় খেলেছেন কিন্তু তার দলে থাকা বিশাল কোন বড় প্রভাবশালী ব্যাপার ছিল না। ২০২৩, ২০২৪ সাল থেকে এমনই এক পরিবর্তন আবারও শুরু হবে ভারতীয় দলে।
ইতিমধ্যেই তার কিছুটা ঝলক দেখতে শুরু করেছে তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ভারতীয় ক্রিকেটের এই প্রজন্মের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি আর দলে নিয়মিত নন। তাকে মাঝেমধ্যেই বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। তার জায়গায় সম্প্রতি অধিনায়ক হওয়ার রোহিত শর্মাও টানা নিয়মিতভাবে ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত ছেড়েছেন এমনটা কেউ দাবি করতে পারবেন না। শিখর ধাওয়ান যদিও শুধুমাত্র এখন ওডিআই ফরম্যাটের সঙ্গেই যুক্ত। কিন্তু ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর তার ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে তিনি নিজেও হয়তো নিশ্চিত নন। তিনি জানিয়েছেন “আমি যতদিন দলে থাকবো, দলের সম্পদ হয়ে থাকবো। যে মুহূর্তে নিজেকে দলের বোঝা মনে হবে, আমি নিজেই সরে যাবো।” ইঙ্গিতটা স্পষ্ট নয় কি?
এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা সরে গেলে কি হবে ভারতীয় ক্রিকেটের তা নিয়ে অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই এখন চিন্তা করতে শুরু করেছেন। তবে এমন ঘটনা যে একদিন ঘটবে তা সকলেই জানেন এবং সেই জন্য ভারতীয় দলকে প্রস্তুত করার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে যশপ্রীত বুমরা, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রিশভ পন্ত প্রত্যেককেই বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেকেই ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বের সুযোগ পেয়েছেন। তাদের পাশাপাশি ঈশান কিষান, দীপক হুডা, রবি বিশ্নই, অর্শদীপ সিং-এর মতো ক্রিকেটাররা পারফরম্যান্স করে প্রমাণ করছেন যে সুযোগ পেলে তারা ভারতীয় দলের হাল ধরতে প্রস্তুত। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই প্রস্তুতির কি ফল মেলে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও দু-তিন বছর।