বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ইংল্যান্ড হলো গতবারের ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। সাম্প্রতিক সময়ে তারা অত্যন্ত আগ্রাসী ক্রিকেট খেলছে। তাই বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে তাদের নিয়ে সাধারণ সমস্যাকে অনেক প্রত্যাশা ছিল। খাওয়া হয়েছিল যে ভারতের ব্যাটিং বান্ধব পিচগুলোতে তারা রীতিমত দাপট দেখাবেন। কিন্তু বাস্তবটা হলো সম্পূর্ণ অন্যরকম।
এর আগে নিউজিল্যান্ড এবং তারপর আফগানিস্তানের কাছে হারের পর আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিলেন জস বাটলাররা। সেই ম্যাচে শোচনীয়ভাবে হারের মুখ দেখতে হলো তাদের। আজ প্রথম ইনিংসে ডি কক দ্রুত ফিরলেও অধিনায়ক বাভুমার জায়গায় দলে আশা রেজা হেনরিক্স ৭৫ বলে ৮৫ রানের একটি ইনিংস খেলে দুর্দান্ত স্টার্ট দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মুখ বুঝে এই দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নিজের কাজটা করে যাওয়া ভ্যান ডার ডুসেন। ৬১ বলে ৮টি চার সহ ৬০ রান করেন তিনি। আজকের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এর দায়িত্ব থাকা এইডেন মার্করমও ৪৪ বলে ৪২ রানের একটি উপযোগী ইনিংস খেলেন। কিন্তু তখনো ক্লাসেন ঝড় দেখা বাকি ছিল ভক্তদের। ব্যাট হাতে এদিন ইংল্যান্ড বোলিং কে একাই যেন ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছিলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
এদিন ব্যাট হাতে ৬৭ বল খেলেছেন তিনি। ১২টি চার ও ৪টি ছক্কা সহ ১০৯ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন তিনি। আর এদিন তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন অলরাউন্ডার মার্কো জেন্সন। ৪২ বলে ৩টি চার ও ছয়টি ছক্কা সহ তিনি ৭৫ রানের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে যান। তবে একসময় মনে হচ্ছিল অতি সহজেই দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করে যাবে। কিন্তু শেষ ওভারে দুই উইকেট হারানোয় ওই কাজটা আর হয়নি এবং ৩৯৯ রানেই শেষ হয় তাদের ইনিংস।
আরও পড়ুন: অবশেষে রাজি হলেন রোহিত শর্মা! ভারতের পরের ম্যাচে BCCI-এর ইচ্ছামতো দল নামাবেন তিনি
এরপর ব্যাটিং করতে নেমে শোচনীয় অবস্থা হয় ইংল্যান্ডের। যে পিছে ঝড় তুলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান রা সেই পিচে ব্রিটিশদের প্রত্যেক ব্যাটারই বড় রানের ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। ভালো বোলিং করে দুটি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগেডি এবং মার্কো জেন্সন। মার্কো আজ ব্যাট এবং বল দুই বিভাগেই ছিলেন উজ্জ্বল। ১৭০ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কিছুটা রান বিলিয়ে দিলেও সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন জেরাল্ড কোয়েটেজি (৩/৩৫)। যে দলকে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ মনে করা হচ্ছিল এই বিশ্বকাপের দৌড়ে তারাই যেন শুরুর দিকেই বড় তিনটি ম্যাচের টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার রাস্তাটা নিজেরাই নিজেদের হাতে তৈরি করে নিলেন।