বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় গোটা দেশ। হনুমান জয়ন্তীতে ওই এলাকায় ধর্মীয় শোভাযাত্রা চলাকালীন আশেপাশের এলাকা থেকে ছোঁড়া হয় পাথর। চলে গুলিও। অভিযোগ ওঠে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের মানুষের উপর। এরপর দুইপক্ষের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। আহত হন অগণিত মানুষ। আঘাত লাগে কয়েকজন পুলিশ কর্মীরও। দাঙ্গার পর বুলডোজার দিয়ে এলাকার একাধিক বাড়ি, দোকান এবং একটি মসজিদের গেট গুঁড়িয়ে দেয় দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। তারপরই যেন প্রতিদিনই উত্তেজনার পারদ চড়ছে জাহাঙ্গীরপুরীতে।
এবার দিল্লির এই এলাকায় যাচ্ছে তৃণমূলের মহিলা প্রতিনিধি দল। এলাকাটি বাঙালি অধ্যুষিত হওয়ায় দলের বাঙালি মহিলা বিধায়কদেরই প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রতিনিধি দলে থাকছেন কাকলি ঘোষদস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অপরূপা পোদ্দার ও শতাব্দী রায়। থাকছেন প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষও। শুক্রবারই ঘটনাস্থলে পৌঁছাবেন তাঁরা।
পুরো ঘটনায় এখনও অবধি ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একাধিক বাঙালি রয়েছে বলেই দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনার মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আনসারও বাঙালি। হলদিয়া এলাকার বাসিন্দা সে। ইতিমধ্যেই আনসারের খোঁজে রাজ্যে উপস্থিত হয়েছে দিল্লি পুলিশ। পুর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল, সুতাহাটা প্রভৃতি এলাকায় চলছে তল্লাশি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মূল অভিযুক্ত আনসারের রয়েছে আবর্জনা এবং রদ্দি মালের ব্যবসা। বিএমডব্লু গাড়ি, সোনা এবং সুরায় আসক্ত ওই ব্যক্তির নামে অতীতেও রয়েছে একাধিক মামলা। যার মধ্যে মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, পুলিশের উপর হামলা, জুয়ার র্যাকেট চালানো, বেআইনি অস্ত্র রাখা ইত্যাদি রয়েছে।