বাংলা হান্ট ডেস্ক: জঙ্গিদের ছোঁড়া চারটে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি! কিন্তু, তাও শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত নিজের কর্তব্যে অবিচল থেকে করে গিয়েছিলেন লড়াই। এমতাবস্থায়, শহিদ BSF জওয়ান গিরিশ কুমার উদ্দে-র শেষকৃত্যে যেন প্রকৃতিরও মন ভার হয়ে যায়। আর তাই তো মধ্যপ্রদেশে চলা নিম্নচাপের তুমুল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসেছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। পাশাপাশি, শহিদ গিরিশকে কুর্ণিশ জানান BSF ডিআইজি সঞ্জয় বর্মা-ও।
জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সকালে ত্রিপুরার সীমানা পোস্টের কাছে পানিসাগর সেক্টরে এনএলএফটি জঙ্গিদের হামলায় শহিদ হন BSF জওয়ান গিরিশ কুমার উদ্দে। মোট চারটি গুলি লাগে তাঁর শরীরে। এদিকে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গিরিশকে আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রীতিমতো মৃত্যুর আগে পর্যন্ত লড়াই করেই না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি।
পাশাপাশি, শেষকৃত্যের জন্য তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় মধ্যপ্রদেশের চারগাওয়ান মাল গ্রামে। সেখানেই তুমুল বৃষ্টির মধ্যে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন কয়েক হাজার মানুষ। জানা গিয়েছে, গিরিশের গ্রামে তাঁর নামে একটি স্কুল তৈরি করা হবে। পাশাপাশি, তাঁর স্মরণে নির্মিত হবে একটি স্মৃতিস্তম্ভও।
এদিকে, গিরিশের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে BSF ডিআইজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াও একাধিক আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে BSF প্রধান জানিয়েছেন, “ঘটনার দিন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন গিরিশ। শুধু তাই নয়, জখম হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁর লড়াই থামাননি। চারবার গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন গিরিশ।”
পাশাপাশি, গিরিশের শেষকৃত্যে উপস্থিত থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফগন সিং গিরিশের পরিবারের জন্য ১ কোটি টাকার অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেন। এদিকে, পিতৃশোকে কাতর হয়ে গিরিশের মেয়ে চন্দ্রিকা জানান, “আমার বাবাকে যে জঙ্গিরা মেরেছে, তাদের যেন খতম করা হয়।”