বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শহর কলকাতার বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে তেহট্টের বিধায়কের চিকিৎসা চলছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তাপস সাহা (Tapas Saha)। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে রাজনৈতিক মহলে। মৃত্যুকালে তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়কের বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
জীবনযুদ্ধে হার মানলেন তাপস (Tapas Saha)!
জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলের জন্মলগ্ন থেকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন তাপস। সেই সময় যুব নেতা ছিলেন তিনি। মাঝে একবার দলের তরফ থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা হলেও দূরত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ফের তাপসকে ফিরিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে নদিয়ার পলাশিপাড়া কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন এই দাপুটে রাজনীতিক। একুশের ভোটে তেহট্ট থেকে জয়ী হন। ২০১৬ থেকে টানা বিধায়ক ছিলেন তিনি। এদিন সকালে সেই তাপসই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। বিধায়কের প্রয়াণে নদিয়ার পাশাপাশি গোটা রাজ্য রাজনীতিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর! জুলাইয়ে কত শতাংশ বাড়বে DA? সামনে নয়া আপডেট
নদিয়ার চাপড়ার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক রুকবানুর রহমান জানান, তাপসের মৃত্যুর খবর পেয়ে জেলা থেকে দলের বেশ কয়েকজন পদাধিকারী কলকাতা যাচ্ছেন। তেহট্টের বিধায়কের শেষকৃত্য কবে, কীভাবে ও কখন হবে সেটা তাপসের পরিবার ও দলের সঙ্গে আলোচনার পর ঠিক হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর তেহট্টের বিধায়কের নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জড়িয়েছিল। তদন্তের সময় উঠে আসে তাপসের কথা। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক কোটি টাকা সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাপসের কণ্ঠস্বরের নমুনাও সংগ্রহ করেছিল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
গত মঙ্গলবার থেকে এই তাপসই (Tapas Saha) অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ সকালে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক।