বাংল হান্ট ডেস্কঃ বিহার ভোটে জিততে না পারলেও সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। বিজেপিকে একেবারে ল্যাজে গোবরে করে দিয়েছিল RJD-কংগ্রেস আর বামেদের মহাজোট। সেই সুত্রে বাংলার নির্বাচনেও RJD কে নিয়ে এগোনোর চিন্তাভাবনা ছিল আলিমুদ্দিনের। শনিবার রাত পর্যন্ত বামেদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে, বিহার ভোটের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ তেজস্বী যাদব ব্রিগেডে আসছেন। ভাষণও দেবেন। আর তিনিই হবে এবারের ব্রিগেডের সবথেকে তরুণ মুখ।
কিন্তু রাত পেরিয়ে সকাল হতেই জানা গেল যে তেজস্বী যাদব বামেদের ব্রিগেডে আসছেন না। তবে তিনি বামেদের ব্রিগেডের দিনে কলকাতায় আসছেন। আর কলকাতায় এসে তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করছেন। আর এই সাক্ষাৎ আয়োজন করেছে সিপিআইএম লিবারেশন। বলে রাখি, ২০২০ এর বিহার ভোটে RJD-র শরিক দল ছিল এই সিপিআইএম লিবারেশন।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বিহারের মতো এরাজ্যেও লালুর দলের সঙ্গে জোট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল আলিমুদ্দিন। এমনকি কলকাতায় জোড়াসাঁকো আর এন্টালি এই দুটি আসনও RJD কে ছাড়তে রাজি হয়েছিল বামেরা। তবে RJD জামুড়িয়ার আসনটিও দাবি করে। এরপরই জোট নিয়ে তৈরি হয় জট। আলিমুদ্দিন কলকাতার দুটি আসন ছাড়লেও জামুড়িয়া ছাড়তে রাজি হয়নি। একেতেই নন্দীগ্রাম আর ভাঙড় ISF কে ছেড়েছে বামেরা। এবার জামুড়িয়া ছাড়লে তাঁরা যে আরও চাপে পড়বে, সেটা ভালো মতই বুঝে গিয়েছে আলিমুদ্দিন। এই কারণে জামুড়িয়ায় RJD কে না বলে জোটে জট তৈরি করা হয়েছে।
তবে বামেদের ব্রিগেডে না থাকলেও আজ তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। এই সাক্ষাতে জোট নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ২০০৬ সালে বাংলায় একটি আসনও জিতেছিল লালুর দল। আর এবার বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলের হাত ধরতে ইচ্ছুক তাঁরা।