নতুন কৃষি নীতি না বানালে মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরানো হবে! হুঁশিয়ারি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ধর্নায় বসছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ‘এক দেশ-এক খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতি’ আরোপের দাবিতে নয়াদিল্লিতে নিজের দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির নেতাদের সাথে ধর্না দিতে চলেছেন তিনি। ১১ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গোটা এক দিন অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার সময়সীমা দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন রাখা হয়েছে কেন্দ্র রাজ্যের কাছ থেকে ধান কিনতে রাজি কিনা। চন্দ্রশেখর বলেছেন, সরকার যদি সাড়া দিতে ব্যর্থ হয় তবে তিনি সারা দেশে নিজের প্রতিবাদকে ছড়িয়ে দেবেন। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, শীঘ্রই একটি নতুন কৃষি নীতি প্রণয়ন না করলে কৃষকরা সরকারের পতন ঘটাবে।

একটি জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থাকে চন্দ্রশেখর বলেছেন “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সতর্ক করে দিচ্ছি যে আপনি কৃষকদের সাথে ঝামেলা করতে পারবেন না। ভারতীয় ইতিহাস সাক্ষী যে যেখানেই কৃষকরা চোখের জল ফেলে, সেখানেই সরকার ক্ষমতা হারায়। কেউই স্থায়ী হয় না… যখন ক্ষমতায় আছেন, তখন কৃষকদের সাথে অন্যায় আচরণ করবেন না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে একটি নতুন কৃষি নীতি প্রণয়ন করতে বলতে চাই এবং আমরাও তাতে তাকে সাহায্য করবো প্রয়োজনে। আপনি যদি তা না করেন তবে আপনাকে সরে যেতে হবে এবং নতুন সরকার একটি নতুন সমন্বিত কৃষি নীতি তৈরি করবে।”

চন্দ্রশেখরের মতে কৃষকরা ভিক্ষুক নন, তাদের পণ্যের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (এমএসপি) চাওয়ার অধিকার রয়েছে। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির কার্যকরী সভাপতি এবং মন্ত্রী কেটি রামা রাও, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক এবং এমএলসি সহ তার দলের অনেক বড় বড় নাম এই বিক্ষোভে কর্মসুচিতে সামিল হতে চলেছেন। তেলেঙ্গানার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার পরে টিআরএস-এর তরফ থেকে বিক্ষোভ তীব্র পর্যায়ে দেখা গিয়েছে এবং দিল্লিতে পৌঁছেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে যে এই মুহূর্তে তারা শুধু শুধুমাত্র কাঁচা চাল সংগ্রহ করতে পারে এবং সেদ্ধ চাল নয় যা ভারতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয় না।

চন্দ্রশেখরের দল এখন ‘এক দেশ-এক খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতি’র দাবিকে দেশব্যাপী ইস্যু করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পরিকল্পনায় রয়েছে। সম্প্রতি, টিআরএস কর্মীরা তেলেঙ্গানায় চারটি জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করেছিল দেশে একটি “অভিন্ন” ক্রয় নীতির দাবিতে চাপ দিতে। ২৪ শে মার্চ, কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জনবন্টন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল তেলেঙ্গানার কৃষকদের আশ্বস্ত করেছেন যে বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকদের মধ্যে একেবারেই কোনও বৈষম্য নেই এবং যোগ করেছেন যে তেলেঙ্গানার কিছু রাজনীতিবিদ রাজ্যের কৃষকদের বিভ্রান্ত করছে। গত বছর, রাজ্যের মন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদল এমনকি পরিমাণ সহ ধান সংগ্রহের বিষয়ে একটি স্পষ্ট ঘোষণা করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সাথে দেখা করেছিল। যদিও শেষপর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি।


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর