বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুনিত রাজকুমারের (puneeth rajkumar) প্রয়াণে বড় ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। কন্নড় সুপারস্টারের আকস্মিক মৃত্যু প্রবল ভাবে নাড়া দিয়েছে তারকা থেকে আমজনতাকে। প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুর খবর সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন দুজন। পুনিতের মতোই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আরেক হতভাগ্যের।
পুনিতের অনুরাগীদের মতোই ক্ষণে ক্ষণে তাঁর অনুপস্থিতি অনুভব করতে পারছেন ১৮০০ জন অনাথ ছেলেমেয়ে। তাদের দত্তক নিয়েছিলেন পুনিত। অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজের কল্যাণেও নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তিনি। তাঁর আচমকা চলে যাওয়াতে নতুন করে অনাথ হয়ে পড়েছে তারা। এমতাবস্থায় অসহায়দের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন আরেকজন তেলুগু অভিনেতা বিশাল।
পুনিতের অভিন্নহৃদয় বন্ধু ছিলেন তিনি। প্রকৃত বন্ধুর মতোই বন্ধুর ফেলে যাওয়া কাজ নিজে সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব নিলেন বিশাল। তিনি জানান, পুনিত যে স্বপ্নটা দেখেছিলেন সেটা তিনি পূরণ করবেন। পুনিতের জন্য ১৮০০ জন ছেলেমেয়ে বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ পেত। এখন সেই দায়িত্ব নিলেন বিশাল। নিজের টাকা খরচ করে পুনিতের স্বপ্ন পূরণ করবেন বলে জানালেন তিনি। দরকার হলে নিজের সম্পত্তি বিক্রি করতেও রাজি বিশাল।
গত ২৯ অক্টোবর, শুক্রবার বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পুনিত। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জিমে শরীরচর্চায় ব্যস্ত ছিলেন পুনিত। আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বুকে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হতে থাকে তাঁর। বেলা সাড়ে এগারোটার সময়ে বেঙ্গালুরুর বিক্রম হাসসাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু চিকিৎসকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি অভিনেতাকে। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে প্রয়াত হন পুনিত।
সংবাদ মাধ্যম সংস্থা ANI কে বিক্রম হাসপাতালের চিকিৎসক রঙ্গনাথ নায়ক জানিয়েছিলেন, পুনিতকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন তাঁরা। অভিনেতা হিসাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন পুনিত রাজকুমার। ‘পাওয়ার স্টার’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে। এখনো পর্যন্ত থমথমে পরিবেশ হয়ে রয়েছে দক্ষিণী ফিল্ম জগতে।