বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোটের আগেই রাজনৈতিক চাল দিল রাজ্য সরকার। খড়গপুরবাসীকে হাতে রাখতে তেলেগু (telugu) ভাষাকে সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিল বাংলার সরকার। খড়গপুরের সিংহভাগ বাসিন্দারই ভাষা তেলেগু। তাই তাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিয়ে ভোটের আগে বাজার গরম রাখতে, তেলেগু ভাষাকে সরকারী স্বীকৃতি দিল রাজ্য সরকার (west bengal government)।
একদিকে যখন বিধানসভা ভোটের পূর্বে বাংলায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বরা প্রচারের কারণে বাংলা ভাষার শিক্ষা গ্রহণ করছেন, নির্বাচনের পর বাংলাকে গেরুয়াময় করে তুলতে বদ্ধ পরিকর হয়ে বাংলা ভাষা শিখছেন, তখন রাজ্য সরকার তেলেগু ভাষাকে সরকারী স্বীকৃতি দিল। প্রধানমন্ত্রী নিজে যখন স্বয়ং দূর্গাপুজোতে বাংলায় অভিনন্দন জানাচ্ছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় ট্যুইট করছে, তখন তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত এক বড় চমক দিল রাজ্যবাসীকে।
সরকারী স্বীকৃতি পেল তেলেগু ভাষা
দীর্ঘদিন ধরেই খড়গপুরের বাসিন্দারা তেলেগু ভাষাকে সরকারী স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। বিধায়ক প্রদীপ সরকারও এবিষয়ে আবেদন করেছিলেন। এবার তাদের দানি মেনে নিল রাজ্য সরকার। সরকারী ভাষার স্বীকৃতি পেল তেলেগু।
শিক্ষামন্ত্রী জানালেন
এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানিয়েছেন, আগেই হিন্দি, উর্দু, নেপালি, গুরুমুখী, ওড়িয়া, রাজবংশী, কামতাপুরি, সাঁওতালি ভাষাকে সরকারী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল তেলেগুও। বহুদিন ধরে খড়গপুরের বাসিন্দারা অনুরোধ করছিলেন, তাই তাদের দাবি মেনে নিয়ে এই ভাষাকে সরকারী স্বীকৃতি দেওয়া হল। ভাষাগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বীকৃতিও পেল তেলেগু। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয় বয়ে গেল খড়গপুর বাসিন্দাদের মধ্যে।