মেলে না বেতন, গালিগালাজ করেন কাউন্সিলর! অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র মেদিনীপুর পুরসভা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঠিক সময়মত বেতন না পাওয়ায় ধুন্ধুমার কাণ্ড! কাজ করেও পাওয়া যাচ্ছেনা বেতন, অনেক ক্ষেত্রে বেতন দিলেও তা মিলছে নির্দিষ্ট সময়ের পর, আবার অনেক সময় সেই বেতনও করা হচ্ছে কাটছাঁট। এই সকল সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লো মেদিনীপুর পুরসভায় (Midnapore Municipality) অস্থায়ী কর্মীরা (Temporary Workers)। চলল দেদার ভাঙচুর।

সোমবার সকাল থেকেই পৌরসভার কনজারভেন্সি ডিপার্টমেন্টের অস্থায়ী কর্মীরা পৌরসভার প্রবেশদ্বার গুলি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর খবর জানাজানি হতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় কাউন্সিলরগণ। তারপরেই তাদের সাথে বাক্যদ্বন্দে জড়িয়ে পড়ে অস্থায়ী কর্মীরা। ক্রমেই পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে থাকে।

পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, বিগত অক্টোবর মাস থেকে তাদের নির্দিষ্ট বেতনের তুলনায় ৬০০ টাকা কম মিলছে বলে অভিযোগ জানান সকল অস্থায়ী কর্মীরা। বারংবার আবেদন করেও হয়নি সুরাহা। এরপরই কার্যত বাধ্য হয়ে না আন্দোলনে নামেন সেই সকল কর্মীরা।

তাদের আরও অভিযোগ, ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলরা এলেও তাদের কোনো কথা সঠিক ভাবে শোনা হয়নি। উল্টে তাদের অভিযোগ, এক তৃণমূল কাউন্সিলর তাদের লক্ষ্য করে গালিগালাজ করেন। এরপরই পরিস্থিতি আরও জটিল হতে শুরু করে। ঘটনায় উপস্থিত কাউন্সিলরদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অস্থায়ী কর্মীরা। এমনকি চিৎকার করে কাউন্সিলরদের ‘চোর’ বলে স্লোগানও দেন অস্থায়ী কর্মীরা। এরপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। সংঘর্ষের জেড়ে ভেঙে পড়ে মেদিনীপুর পুরসভার একটি লোহার গেট।

খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কোনো রকমে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। এই বিষয়ে মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান জানান, “সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরসভায় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেটে রাখা টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাদের। সোমবারই প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে।” তবে পুরপ্রধানের বক্তব্যে আশ্বাস পায়নি অস্থায়ী কর্মীরা। এখনো ক্ষোভে ফুঁসছেন তারা। আন্দোলনের জেরে বন্ধ রয়েছে মেদিনীপুর পুর এলাকায় সাফাইয়ের কাজ।

protest2

অন্যদিকে, স্থানীয় কাউন্সিলররা জানান, অস্থায়ী শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। পুরসভার তরফে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ঠিকই তবে অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ কেউ ঝামেলার সৃষ্টি করছে। এদিনের  বিক্ষোভে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর