বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইতিমধ্যেই গরম (Summer) শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতায়। আর কিছুদিন পর থেকেই বাংলা জুড়ে শুরু হয়ে যাবে গ্রীষ্মের ঝোড়ো ব্যাটিং। ঘরে কিংবা বাইরে, সব জায়গাতেই নাজেহাল হবে সবাই। এমন অবস্থায় অনেকেই গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য ভরসা রাখবেন এয়ার কন্ডিশন বা এয়ার কুলারের উপর। কিন্তু শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (Air Conditioner) ছাড়াও নিজেকে ঠান্ডা রাখতে মেনে চলুন কিছু নিয়ম।
১. বিছানায় অনেকেই পলিয়েস্টার অথবা স্যাটিন সিল্কের চাদর ব্যবহার করে থাকেন। গরমে এর বদলে ব্যবহার করুন সুতির কাপড়।
২. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফ্রিজে আপনার বিছানার চাদরকে একটি প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে ঢুকিয়ে রাখুন কয়েক মিনিটের জন্য। এর ফলে আপনি ঘুমানোর সময় ঠান্ডা অনুভূতি পাবেন।
৩. হট ওয়াটার ব্যাগে বরফ জল ভরে রাখতে পারেন। এইভাবে তৈরি হয়ে যাবে আইস প্যাক।
৪. ঘর ঠান্ডা রাখতে জানলার বাইরের দিকে টেবিল ফ্যানের মুখ রাখুন। এর ফলে ঘরের গরম হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যাবে সহজে।
৫. এবার আপনাদের একটি পুরনো টোটকা বলবো। সুতির চাদর বা গামছাকে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে জল ঝরিয়ে তা রেখে দিতে পারেন গায়ের উপর। তবে, ভেজা ভেজা ভাব পছন্দ না হলে আপনি ভেজা চাদরের নিচে রাখতে পারেন একটা শুকনো চাদর।
৬. কিছুটা পরিমাণ বরফ আপনি টেবিল ফ্যানের সামনে রেখে দিতে পারেন। এর ফলে আপনার চারদিক ঠান্ডা হয়ে যাবে।
৭. কিছুক্ষণ আইসপ্যাক ধরে রাখুন হাতের কব্জি, কনুই, ঘাড়, গোড়ালি ও হাঁটুতে অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন পালস্ পয়েন্ট গুলোতে। এর ফলে আপনার শরীর ঠান্ডা হবে।
৮. ঘুমানোর জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন চাটাই। খোলামেলা হওয়ার জন্য এতে সহজে বেশি বাতাস চলাচল করতে পারে, আর শরীর ঠান্ডা থাকে।
৯. ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জল খেয়ে ঘুমাবেন। এর ফলে সারারাত আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে। শুধু তাই নয়, শরীরে জলের ঘাটতিও কিছুটা মিটবে।
১০. গ্রীষ্মকালে বেশি করে স্নান করতে হবে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্নান করলে শরীর ঠান্ডা হয়।