বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও গোষ্ঠীকোন্দল তৃণমূলের অন্দরে। এবার স্কুল ঘর সংস্কারের জন্য ডাকা টেন্ডারে দূর্নীতির অভিযোগ এনে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হলেন পঞ্চায়েত সমিতিরই এক তৃণমূল সদস্য। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হরিশচন্দ্রপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে। ওই পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সুজাতা সিনহা অভিযোগ এনেছেন পঞ্চায়েত সমিতিরই সভাপতি কোয়েল দাসের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের প্রতিটি স্তরেই লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন সুজাতা। পঞ্চায়েত সমিতির অন্য কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধেও উঠছে অভিযোগ।
জানা যাচ্ছে, ওই ব্লকের ৮টি প্রাথমিক স্কুল বাড়ি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুলবাড়ি সংস্কারের পাশাপাশি বাড়িগুলিতে বৈদ্যুতিক কাজকর্মও করার আছে বেশ কিছু। পুরো কজাওটির জন্য বাজেট হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা। সবই ঠিক ছিল, কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎ অভিযোগ এনে সরব হলেন সুজাতা সাহা।
তাঁর অভিযোগ, ‘টেন্ডার দেওয়ার আগে নিয়ম মেনে শিক্ষা স্থানীয় সমিতির সভা ডাকা হয়নি। গোপনে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ভবন সংস্কার ও বৈদ্যুতিক কাজকর্মের জন্য যাদের বরাত দেওয়া হয়েছে, তাদের অভিজ্ঞতা নিয়েও সংশয় রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কয়েকজন সদস্য মিলে সরকারি টাকা নয়ছয় করেছে।’ আর তাঁর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়।
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও সরকারি টাকা তছরূপে নাম জড়িয়েছে কোয়েল দাসের। এর আগে বনাত্রাণ বিলিতে দূর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ফেরার ছিলেন তিনি। সম্প্রতি জামিন পেয়ে আবার ফিরেছেন এলাকায়। সেই মামলায় অবশ্য নাম জড়িয়েছিল সুজাতা সাহারও। কিন্তু তাঁর দাবি মিথ্যে ফাঁসানো হয়েছিল তাঁকে। তাই এবার নিজের পিঠ বাঁচাতে আগেভাগেই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব বিরোধী শিবির। স্থানীয় বিজেপির দাবি, ‘রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির খেলা চলছে। দলের লোকেরাই দলের বিরুদ্ধে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন। আগামী নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে।’ পুরো অভিযোগই অবশ্য অস্বীকার করেছেন কোয়েল দাস। তাঁর দাবি, বিরোধী দলনেত্রীর মতন আচরণ করছেন সুজাতা সাহা। সুজাতা তৃণমূলে আদৌ আছেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেও কটাক্ষ করেন তিনি।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা