বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃনমূল (TMC) পার্টী অফিস থেকে প্যাকেট ভতি শতাধিক রেশন কার্ড ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) কালনার (kalna) দু’নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কল্যাণপুর পঞ্চায়েত এলাকা। অভিযোগের তীর তৃনমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান জামাল শেখের (Jamal Shekh) বিরুদ্ধে। পার্টি অফিস থেকে রেশন কার্ড উদ্ধার হওয়ার পরই গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত প্রাক্তন উপপ্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে পৌছায় কালনা থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীরা ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা-২ ব্লকের কল্যাণপুর পঞ্চায়েত এলাকার কল্যাণপুরের দলীয় কার্যালয় পরিষ্কার করার সময় একটি প্যাকেটে বেশ কিছু নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড দেখতে পাওয়া যায়। খবর চারিদিকে চাউর হতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কার্ডগুলি এলাকার বাসিন্দাদের। সকলেই ঘটনার জন্য এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে আরও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। এদিন সকালে প্রধানের বাড়িতে আরও রেশন কার্ড আছে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে জামাল শেখকে গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন। খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিস ও পঞ্চায়েত প্রধান পিন্টু খামারু ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জামাল শেখকে পুলিস উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা তাহাজুদ্দিন সরকার ওরফে বাদশা বলেন, আমাদের ১৪টি পুরনো রেশন কার্ডের বদলে আবেদন করেও নতুন কার্ড পাইনি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরেও নতুন কার্ডের হদিশ মেলেনি। জানি না কার্যালয়ে উদ্ধার হওয়া রেশন কার্ডের মধ্যে বা অন্যত্র আমাদের কার্ড আছে কি না। একই বক্তব্য স্থানীয় বাসিন্দা সমীর দে, জয়ন্ত ঘোষ, অমিত কুমার পাল, সমর মালিকদের। তাঁরা চান অবিলম্বে যাতে কার্ড পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। একইভাবে গ্রামে শতাধিক মানুষ নতুন রেশন কার্ড থেকে বঞ্চিত বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায় বলেন, জামাল শেখকে অনৈতিক কাজের জন্য আমরা দেড় বছর আগেই দল থেকে বহিষ্কার করেছি। আমরা কোনওভাবেই চাই না মানুষ খাদ্যসাথী কার্ড থেকে বঞ্চিত হোক। উদ্ধার হওয়া কার্ডগুলির নাম ধরে ধরে বিলি করার জন্য বলা হয়েছে। সকলে যাতে কার্ড পান সেই দিকটাও দেখা হবে। কোনও অনৈতিক কাজকে বরদাস্ত করা হবে না। আইন আইনের পথে চলবে।