বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে এসএসসি (SSC), প্রাথমিক টেটের (Primary Tet) পাশাপাশি কয়লা পাচারের মতো একাধিক দুর্নীতি, আবার অপরদিকে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব; সব মিলিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চরমে। এর মাঝেই এদিন বাংলার দুটি পুরকেন্দ্রে উপনির্বাচন সংঘটিত হয়। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মানুষের রায় কোন দিকে, আপাতত সেদিকেই নজর সকলের। তবে এদিন সামান্য একটি উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করেও বাদ গেল না অশান্তি! উপনির্বাচন শুরু হতেই এদিন বনগাঁ (Bangaon) এলাকায় শুরু হয় ঝামেলা। পুরভোটে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে পুলিশ বাহিনীকে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হয় বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে বিজেপি (Bharatiya Janata Party) বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে (Swapan Majumdar) নিগ্রহ করা হয় বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। যদিও বিরোধীদের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তাদের দাবি, “বিরোধীদের পক্ষ থেকে মিথ্যে দাবি করা হয়ে চলেছে।”
এদিন ভোটদান পর্ব শুরু হতেই বনগাঁর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কেশব লাল বিদ্যাপীঠে পৌঁছে যান উত্তর বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। আবার অপরদিকে, তার কিছু সময় বাদেই গাঁধিপল্লিতে পরিদর্শনে যান দক্ষিণ বনগাঁর বিধায়ক স্বপন মজুমদার। অভিযোগ, তাদের দেখতেই বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। এমনকি, তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্রের চারিধারে বহিরাগত ঢোকানো হয়েছে বলে অভিযোগ ছুড়ে দেয় বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার পৌঁছে যেতেই শুরু হয় ঝামেলা। একদিকে স্বপনবাবুকে উদ্দেশ্য করে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। আবার অপরদিকে, সেই সময় তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্য করেও ‘চোর চোর’ স্লোগান দেয় বিজেপি। পরবর্তীতে দুই শিবিরের মধ্যে শুরু হয় উত্তেজনা এবং এরপরই ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই প্রসঙ্গে স্বপন মজুমদার বলেন, “তৃণমূল দাবি করে আসে যে, ওরা নাকি অনেক উন্নয়ন করেছে। সেই কারণে একটা উপনির্বাচনে জিততে হলেও ছাপ্পা ভোটের উপর ভরসা করতে হচ্ছে। আমরা ছাপ্পা ভোট করতে পারি, কিন্তু চাই না তা করতে। সেই কারণে প্রশাসনকে অনুরোধ করব, আপনারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন। যেভাবে আজ আমাদের মহিলা কর্মীদের ওপর মারধরের ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
একইসঙ্গে সিপিএম দলের তরফ থেকে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করা হয়েছে। বামেদের এক নেতা জানান, “তৃণমূল বুথ দখল করার পাশাপাশি বহিরাগতদের ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমাদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।” যদিও তৃণমূল দলের তরফ থেকে এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়, “এসব বিরোধীদের চক্রান্ত।” অপরদিকে, এদিন আসানসোলের ৬ নম্বর ওয়ার্ডেও উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তির সৃষ্টি হয়। বুথে বিরোধীদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ পর্যন্ত সামনে এসেছে। এসকল বিতর্ক অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল।