বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পূর্ব লাদাখে (Ladakh) গত কয়েক দিন ধরেই ভারত (india) ও চীনা (china) সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছে। একদিকে যেমন চীনও শান্তি ভাবে সমস্যা সমাধানের কথা বলছে অন্যদিকে চীনই আবার মধ্যরাতের অন্ধকারে চালবাজিও চালাচ্ছে। এখন খবর আসছে যে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির তিব্বত মিলিটারি কমান্ড সোমবার গভীর রাতে ৪,৭০০ মিটার উচ্চতায় সৈন্য প্রেরণ করে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে তার সক্ষমতা পরীক্ষা করে।
এই মহড়া সম্পর্কে চীনা সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস প্রতিবেদনে বলেছেন যে, ভারত ও চীন সীমান্তের অনেক উচু জায়গায় আছে। দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটেছে যার পরে উভয় পক্ষেই মোতায়েন করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে উত্তেজনার এই পরিবেশে চীন এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমেরিকাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে ভারতের সীমান্তে চীনের আগ্রাসী মনোভাব বিপজ্জনক।
Chinese #PLA Tibet Military Command recently sent troops to high-altitude region at 4,700m elevation at night for infiltration exercises behind the enemy line, destroyed opposing armored vehicles and launched strikes on enemy headquarters. https://t.co/5q43OE6COO pic.twitter.com/Y9wDt5M5kM
— Global Times (@globaltimesnews) June 2, 2020
চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে , সোমবার রাত একটায় স্কাউট ইউনিট টাঙ্গুলা হিলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। মার্চ চলাকালীন, যানবাহনের লাইট বন্ধ ছিল এবং ড্রোন এড়ানোর জন্য নাইট ভিশন ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছিল। পথে বাধা অতিক্রম করে ড্রোনগুলির সাহায্যে বিস্ফোরণ চালানো হয়েছিল। যুদ্ধের পরীক্ষাও লক্ষ্যটির অদূরে করা হয়েছিল, যার জন্য স্নিপার ইউনিটকে পাঠানো হয়েছিল। চীনের স্নাইপার স্ট্রাইকিং টিম ও ফায়ার স্ট্রাইকিং টিম অস্ত্রসজ্জিত গাড়িগুলোকে সেই রাতেই পরীক্ষা করে।
নতুন অস্ত্রশস্ত্র চাইনিজ সৈনিকরা কতক্ষণ লক্ষ্যে সকল তার ওপর একটা টেস্ট করা হয় ওই রাতের মধ্যে।এই মহড়ার সময় প্রায় ২০০০ টি মর্টার শেল, রাইফেল গ্রেনেড এবং রকেট ব্যবহৃত হয়েছিল। এ থেকে জানা গেল যে নতুন অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি নিয়ে যুদ্ধ করতে সেনাবাহিনী কতটা প্রস্তুত। এন্টি ট্যাংক রকেট দিয়ে হালকা হালকা গাড়িগুলোকে পরীক্ষা করা হয় তার কার্যক্ষমতা ঠিক কতটা, তা সৈনিকরা পর্যবেক্ষণ করেন। বলা হচ্ছে যে, চীন তার আভ্যন্তরীণ বিষয় গুলি লুকাবার জন্য এই সকল উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।