ঠিক যেন রাজপ্রাসাদ! ৫ হাজার কোটি টাকায় প্রস্তুত হল কাম্পেগৌড়া বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে নির্ঘাত কোনো রাজপ্রাসাদের অন্দরমহলের ছবি দেখছেন। চারিদিকে আলো, তকতকে মেঝে এবং পরিপাটি করে সাজানো অন্দরসজ্জা দেখে যে কেউ হবেন অবাকও। তবে, এগুলি কোনো রাজপ্রাসাদের ছবি নয়। বরং, আমাদের দেশেরই একটি বিমানবন্দর সেজে উঠেছে এভাবে। হ্যাঁ, শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও কাম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (Kempegowda International Airport) টার্মিনাল ২ তে গেলেই প্রত্যক্ষ করা যাবে এই সৌন্দর্য।

মূলত, এই টার্মিনালটি বেঙ্গালুরুর গার্ডেন সিটির আদলে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের মনে হবে তাঁরা যেন কোনো বাগানে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায়, প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টার্মিনালটি আগামী ১১ নভেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এমনকি, ইতিমধ্যেই টার্মিনালটির বেশ কিছু ঝাঁ চকচকে ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

যাত্রীরা এখানে এসে দশ হাজার বর্গমিটারেরও বেশি সবুজ দেওয়াল, ঝুলন্ত উদ্যান এবং বাগানের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারবেন। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এটি। শুধু তাই নয়, এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি আগে থেকেই পুরো পরিসর জুড়ে ১০০ শতাংশ রিনুয়েবল এনার্জি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নজির স্থাপন করেছে।

মূলত, এই টার্মিনালটি আকাশপথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে। এছাড়াও, এটি বিমানবন্দরের যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতার পাশাপাশি চেক-ইন এবং ইমিগ্রেশনের জন্য কাউন্টারগুলিকেও দ্বিগুণ করবে। এই প্রসঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরের যাত্রী পরিচালনার ক্ষমতা বর্তমানে বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন। যা এই টার্মিনাল ২-এর মাধ্যমে বার্ষিক প্রায় ৫-৬ কোটিতে বৃদ্ধি পাবে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদী এটির উদ্বোধন করার পাশাপাশি, বিমানবন্দর চত্বরে স্থাপিত বেঙ্গালুরুর প্রতিষ্ঠাতা কেম্পেগৌড়ারও ১০৮ ফুট উঁচু ব্রোঞ্জ মূর্তিরও উন্মোচন করবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এই টার্মিনালের নকশার জন্য আমেরিকান আর্কিটেকচার ফার্ম Skidmore, Owings & Merrill (SOM)-কে বেছে নেওয়া হয়েছিল। টার্মিনালটির ভিতরে ও বাইরে উভয় দিকেই সবুজের সমারোহ দেখা যাবে।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X