বাংলা হান্ট ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে সেনার বিগত ছয় মাসে ১২৬ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুযায়ী কাজ করে, জম্মু কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা সক্রিয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অনুযায়ী, সেনার সঠিক রণনীতি আর যৌথ প্রচেষ্টার ফলে জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ১৪ই জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত জম্মু আর কাশ্মীরে ১২৬ জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। সেনার এই অভিযানে আমাদের ৭৫ জন বীর জওয়ান দেশের স্বার্থে নিজেদের জীবন বলিদান করেছেন। সেনার এই শহীদদের মধ্যে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪০ জন শহীদ জওয়ানও আছেন।
রাজ্যসভায় লিখিতি জবাবে গৃহ রাজ্যমন্ত্রী জি. কিশোর রেড্ডি বলেন, সরকার সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের দ্বারা উৎপন্ন করা চ্যালেঞ্জের সন্মুখিন হওয়ার জন্য সুরক্ষা উপকরণ গুলোকে ঢেলে সাজাচ্ছে। এছাড়াও, দেশ বিরোধী গ্রুপ গুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া এবং তল্লাশি অভিযান আর দ্রুত করার জন্য বিভিন্ন উপার বের করা হচ্ছে।
রাজ্যসভায় দেওয়া লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় জানায় যে, সীমান্তে হওয়া অনুপ্রবেশ বিগত বছরের তুলনায় এই বছরে ৪৩ শতাংশ কমেছে। আরেকদিকে স্থানীয় মানুষদের জঙ্গি সংগঠনের যোগ দেওয়ার ঘটনা ৪০ শতাংশ কমেছে। সেনার কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে বিগত বছর গুলোর তুলনায় এবছর জঙ্গি কার্যকলাপ ২৮ শতাংশ কমেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অনুযায়ী, সেনা দ্বারা শুরু করা অভিযান আগের থেকে ৫৯ শতাংশ বেড়েছে, আর এই কারণে সন্ত্রাসবাদীদের খতম করার মামলা ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর অমিত শাহ (Amit Shah) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দ্বায়িত্ব নিয়েই জম্মু কাশ্মীরে সক্রিয় টপ ১০ জঙ্গি তালিকা বানিয়ে ফেলেন। ওই লিস্টে হিজবুল মুজাহিদ্দিন এর জঙ্গি রিয়াজ নাইকু (Riyaz Naikoo) , লস্কর এ তৈবা এর কম্যান্ডার ওয়াসিম আহমেদ ইলিয়াস ওসামা, আর হিজবুল এর আশরফ মৌলবির নাম আছে। শোনা যাচ্ছে যে, এই টপ জঙ্গিদের তালিকা সেনার সাথে পরামর্শ করার পর তৈরি করা হয়েছে।
এই লিস্টে প্রধান রুপে হিজবুল মুজাহিদ্দিন, লস্কর এ তৈবা, জৈশ এ মোহম্মদ আর আল বদর এর মতো জঙ্গি সংগঠন এর কুখ্যাত জঙ্গিদের নাম রাখা হয়েছে, এরা জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ চালায়।