বাংলাহান্ট ডেস্ক : পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) মানকর কলেজে কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র হাবিবুল্লাহ। ছোট থেকেই শান্ত স্বভাবের হাবিবুল্লাহ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত। সেই কিনা জঙ্গি নেতা! কাঁকসার মীরেপাড়ার বাসিন্দাদের যেন বিশ্বাসই হচ্ছেনা এই কথা। কাঁকসা থানার পুলিশের সাথে রাজ্য পুলিশের ‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্স’ (এসটিএফ)-এর আধিকারিকেরা শনিবার পোঁছে যান মীরেপাড়ায় মহম্মদ হাবিবুল্লাহের বাড়িতে।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ভারতীয় মডিউলের দায়িত্বে রয়েছেন হাবিবুল্লাহ। হাবিবুল্লাহকে আদালতে তোলা হয় রবিবার। আদালত ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় এই ছাত্রকে। হাবিবুল্লাহ এলাকায় অত্যন্ত ভালো ছেলে হিসাবেই পরিচিত। অত্যন্ত ভালো ফল করেছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। তাঁর বাড়িতে রয়েছে মা বাবা ও বোন।
আরোও পড়ুন : ১২ বছর বয়সেই অধ্যাপক! মিলেছে হার্ভার্ডের স্বীকৃতিও, বিস্ময়কর বাঙালি বালকের কীর্তি গর্বিত করবে
মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া হাবিবুল্লাহ বেশ পরিচিত কলেজেও। এই ছাত্রের মেধা নিয়ে সংশয় না থাকলেও, খুব একটা ক্লাসে দেখা যেত না তাঁকে। এসটিএফ ধারণা করছে, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের মডিউল ‘শাহদাত’-এর পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে ছিলেন হাবিবুল্লাহ। পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়িতে বসেই এই ছাত্র যোগাযোগ রাখতেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে।
আরোও পড়ুন : শপথ নিচ্ছেন মোদী, সংবিধান হাতে বিক্ষোভ ‘INDIA’র! লোকসভার প্রথম অধিবেশনের দিনেই তুলকালাম
জঙ্গি সংগঠনের মতাদর্শ এপার বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হাবিবুল্লাহকে। এদিন তদন্তকারীরা পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করেছে একাধিক নথি, হাবিবুল্লাহর ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন। এসটিএফ সূত্রে খবর, আল কায়দার মতাদর্শে বিশ্বাসী এই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কাজ বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর হওয়া অত্যাচারের তথ্য সংগ্রহ করা।
তারপর মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে ধর্মীয় অপব্যাখ্যা করে দেশের আইন ও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করা। কলেজ পড়ুয়া হাবিবুল্লাহ এই কাজ নাকি করতেন বিশেষ মোবাইল অ্যাপ ‘বিআইপি’এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে রবিবার তাঁকে পেশ করা হলে, তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।